পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ নটনন্দিনী । তবে অদ্য রজনীতেই সমুদায় কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে পারে, দিবসান্তরের অপেক্ষা করে না ।” ব্রহ্মচারীর বাক্যে পুলিন বাবু আশ্চৰ্য্য হইলেন এবং উত্তর করিলেন “ দেব ! সেই বিভ্রম নিকেতন সম্যকরূপেই আমার আয়ত্ত মধ্যে আছে । কতিপয় দিবসাবধি আমি সেই ললনাকে তাহার অন্ধ পিতার নিকট হইতে অজ্ঞাতসারে বলপূর্বক আনয়ন করিয়া স্বীয় অধিকৃত স্থানে নিৰ্জ্জনে কারাবদ্ধের দ্যায় আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছি, বিবিধ প্রকারে স্বতঃ পরতঃ প্রবোধ প্রদান করিয়া কোন প্রকারে চিন্তাপহারিণীর দৃঢ় চিত্তবৃত্তির অন্যথা করিতে পারিলাম না । ভগবন্‌ ! তাছাকে একবার দৃষ্টিগোচর করার অপেক্ষ কি ? অনুমতি হইলে অচিরাৎ আপনকার আদিষ্ট স্থানে আনয়ন করি, এবং প্রক্রিয় সাধন অপেক্ষায় ব্যাপক কাল অপেক্ষিত করা দুরূহ নহে ।” অনন্তুর ব্রহ্মচারী বলিলেন “বৎস! ব্যস্ত হুইবার প্রয়োজন নাই, যদি নায়িকা আয়ত্ত মত নির্দিষ্ট স্থানে থাকে, তবে তাহাকে চালনা করায় ফল কি ? আমি সন্ধ্যোপাসনাস্তুে একবার তথায় গমন করিয়া নির্জনে তাহকে প্রবোধ প্রদান ছলে তাহার মনোবৃত্তির পরিচয় গ্রহণ করিব, পশ্চাৎ উপায়াস্তুর অবলম্বন করা শ্রেয় । কিন্তু আমি নিরতিশয় বিস্ময়ের অধীন হইলাম। পূৰ্ব্বাপর শাস্ত্র প্রয়োগ কি বিফল হইল ? দেববাক্য এবং মহাপুৰুষগণের নীতি সঙ্কলন কি ক্ষলোপচয়ের কারণ ছইল না ? নীতিশাস্ত্রে উক্ত আছে ;– ন স্ত্রীণমপ্রিয়ঃ কশ্চিৎ প্রিয়োবাপি ন বিদ্যতে । গণবস্ত,ণমিবারণ্যে প্রার্থয়ন্তি নবং নবং ।