পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. নটনন্দিনী । কমলমণি দুঃখিনীকে বালিকাবস্থায় তাহার স্বামীর ভ্রাতৃপুত্রদ্বয় রাম ও শ্যামের সহিত ভিক্ষা করিতে নগরাভ্যন্তরে প্রেরণ করিত, তথায় কোন বদ্ধিষ্ণু লোকের বাটতে একটা পাঠশালা ছিল। দুঃখিনী ভিক্ষাচ্ছলে পাঠশালস্থ বালক বালিকগণের নিকটস্থ হইয়া কেবল বিদ্যাভ্যাসের চেষ্টা করিতেন, অথচ মনোগত অভিপ্রায় কাহাকেও প্রকাশ করিতেন না । তাহাতে দুঃখিনী জিতাক্ষরতা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, এবং সেই সকল বালক বালিকাগণের নিকট স্বীয় পাঠোপযোগী পুস্তক সকল সংগ্ৰহ করিয়া নিয়ত পাঠ ও বিদ্যালয়স্থ অধ্যাপকগণের নীতিগর্ভ উপদেশ সকল অনন্যমনে শ্রবণ ও সংকলন করিতেন, তজ্জনিত মহিলাসুলভ অমূল্য সতীত্বধৰ্ম্ম যে অবশ্য রক্ষণীয় এই সংস্কারটি উপহার অন্তঃকরণে বিলক্ষণ রূপে সঞ্চারিত হইয়াছিল । একদিবস দুঃখিনী ও কমলমণি এক স্থানে উপবেশন পূর্বক আপনাপন মনোগত অভিলাষ পরস্পরে ব্যক্ত করিতেছিলেন । ইত্যবসরে দুঃখিনী সমধিক বিনয় সহকারে কমলমণিকে কছিলেন, মা ! আপনি আমার জননীস্বরূপ, অামাকে সস্তানের ন্যায় বাৎসল্য ভাবে লালন-পালন করিয়া অামার প্রাণ রক্ষা করিয়াছেন, আমি তাঁহাতে আপনার নিকট চিরঋণী থাকিব । কিন্তু মাগে ! আমি এই ভিক্ষ চাই যে, অসতীপনা ভিন্ন কোন উপ’য়ে আমি আপনার কিঞ্চিৎ উপকার করিতে পারি, এমন উপদেশ জামাকে দিন । কমলমণি উত্তর করিল “কি বলিলে ? আমাদের জাতিতে সকলেই যে কৰ্ম্ম করে, সে কৰ্ম্ম করিতে তোমার মত নয় ? তবে আমি তোমাকে লইয়া কি করিব ?