পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ নটনন্দিনী । উছার বারাঙ্গন এবং উহাদিগের গমনাগমনের হেতু, পুলিন ব্রহ্মচারীকে বিজ্ঞাপন করিয়া কমলাকে দুঃখিনীর কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, কমলা উত্তর করিল, মহাশয় ! এমনটা আর দেখি নাই, একটা দুধের আঙ্গুল মেয়ের নিমিত্তে সকলেই রক্তমুখী হইলাম, কিন্তু কিছুতেই তাহার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিতে পারিতেছি ন, কি আশ্চর্য্য! আমারদিগের চক্রে পড়িলে বোধ করি বড় বড় সতী সাবিত্ৰীও স্বামীপুত্র পরিভ্যাগ করিয়া কুপথে গমন করে, এই একটা অনাথা স্ত্রী,—ইহাকে বশ করিতে এত ক্লেশ ? তাহাই কি সফল ছইল ? এখনও যে কতদিনে কি হইবে তাহারই কি স্থিরতা আছে ? পুলিন বলিলেন তবে হারি মানো ! কানন উত্তর করিল এখন তাছাই বটে, কিন্তু আমরাও নাছোড় বান্দা, আপনি “হার মানো" বলিলেই যে আমরা নিশ্চিন্তু হইলাম এমনও নহে; চেষ্টা যতদূর করা উচিত তাহা করিব, আপনগর মতামতের অপেক্ষা করিব না, পরে অপমাদিগের হাতযশ আর আপনার কপাল । এক্ষণে ব্রহ্মচারী মহাশয় যে গুণ জ্ঞানের কথা আজ্ঞা করিলেন তাহ শুনিয়া আমরা সাহসী হইলাম, বোধ করি মহাত্মার এরূপ অনুগ্রহে আপনার অন্য কোন উপায় অবলম্বন করিতে হইবে না। মহাপুৰুষের রূপাকটাক্ষে আপনার মনোরথ অবিলম্বেই সিদ্ধ হইবে, আপনি কায় মনে তপোধনের সেবা কৰুন আমরা বিদায় হইলাম । এই বলিয়া সকলে গাত্রেীথশন করিল। পুলিন বলিলেন “বিদায় হইলাম" কি কথা,—এই না বলিলে যে “যত চেষ্টা করিতে হয় করিব” ! কানন উত্তর করিল আমি কোন দূষ্য ভাবে বলি নাই, বেলা অধিক হইয়াছে এক্ষণে আমরা