পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২8 महेनझिनैो । ছিলাম, বয়স যখন আমার দশ বৎসর তখন মহা সমারোছে এই সছরের মধ্যেই আমার বিবাহ দিলেন । স্বামী প্রায় সমবয়স্ক, র্তাহার রূপের কথা কি বলিব ! সে অবয়ব মনে পড়িলে হৃদয় বিদীর্ণ হয় । শ্বশুর শাশুড়ী দেবর ভাণ্ডর যা ননদ ইত্যাদি একটা ছাট পরিবার, ধনের অভাব নাই, সংসার স্বচ্ছন্দে নির্বাহ হইয়া দুর্গোৎসব ক্রিয়া কলাপ অক্লেশে হইত। অভাগীকে না কি চিরটা কালই দুঃখ ভোগ করিতে হইবে সেই জন্যই প্রথম প্রথম অতুল সুখী এবং সৰ্ব্বত্ৰেই মহা যত্বের হইয়া উঠিলাম। আমার উভয় কুলেই সমান আদর, অহঙ্কারে আর মৃত্তিকায় পা পড়ে না, ক্রমে রাক্ষসী একটু বড় হইয়াই একটা একটা করিয়া প্রায় সকল গুলিকেই পেটে পুরিলাম, বাপের বাড়ীর বাপ মা আর দুই ভগ্নী, শ্বশুর বাড়ীতে সেই রাণীকৃত পরিজমের মধ্যে কেবল শ্বশুরআর একটা ভাশুরপুত্ৰ মাত্র জীবিত থাকিলেন। তখন আমি শ্বশুরালয়ে থাকি, সেই বালকটকে লালন পালন করি, তাছার প্রতি আমার আকৃত্রিম মমতা দেখিয়া শ্বশুর মহাশয় অামাকে যথেষ্ট স্নেহ করিতেন, মা বাক্য ভিন্ন সম্বোধন করিতেন না, এবং সৰ্ব্বদাই বলিতেন, মা তোমার অভাব কি ? কিছুদিন পরে তোমার ছেলে তোমায় সুখী করবে। আমিও মহাগুৰুর সেবা আর বালকটর লালন পালনে নিবিষ্ট হইয়া এক প্রকার মনোবেদনা ও শোক-শোচনা হইতে নিবৃত্ত ছিলাম । পিতা প্রতিদিন এক এক বার আমার কাছে যাইয়া কুশল জিজ্ঞাসা করিভেন, মধ্যে মধ্যে পিতৃ আলয় আসিয়া মাতাঠাকুরাণীকেও দেখিয়া যাইতাম, তখনও আমি অসুখে ছিলাম না । বিধাতা আমার প্রতি না কি নিতান্তই প্রতিকুল তাই