পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানন S$ 6. আমার মুখ স্থৰ্য্য একেবারেই অস্ত হইয়াছেন, পোড়া কপালীর কপালে এই সমস্ত লাঞ্ছনা ভোগ নিশ্চয় আছে, আর সে স্বচ্ছমদতা কতক্ষণ থাকে ? এক দিবস পিতা আমাকে বলিলেন “মা আমরা তীর্থে যাত্রা করিব, তোমাকে লইয়া যাইবার নিমিত্ত তোমার শ্বশুরকে বলিলাম কিন্তু তিনি সম্মত নহেন”। আমি তীর্থ যাত্রার কথা শুনিয়াই কঁাদিয়া উঠিলাম, তাহার সমডিব্যাহারে যাইবার জন্য ব্যগ্র হইলাম । শ্বশুর মহাশয় আমার কামা শুনিয়া অামাকে অনেক বুঝাইলেন, পরে বলিলেন “ আমি তোমার বাপের বাষ্ট্ৰী যাওয়া বারণ করি না, কিন্তু দেখ মা আমার কেছই নাই, এ সময় যদি তুমি তোমার পিতা মাতার সঙ্গে তীর্থ গমনে ইচ্ছা কর, তবেই আমি গেলাম, মা তোমার শুশ্রুষায় আমি সেই সকল চাদমুখ বিস্মৃত ছইয়া এই বিষময় সংসারে আবার লিপ্ত ছইয়াছি । মা ! আমি তোমার গাত্রের অলঙ্কার উন্মোচন করিতে দিইনাই, কেন না তোমাকে বিধবাবেশিনী দেখিলে আমার সুর বীর সন্তান সকলের বিয়োগ সৰ্ব্বদা মনে পড়িবে। এক্ষণে তুমিই একমাত্র আমার প্রাণের আধার স্বরূপ, এত দুরবস্থাতেও কেবল তোমার সেবা গুণে এপর্যন্ত জীবিত আছি। তুমি এক দও আমার নয়ন পথের দূরস্থ হইলে আমার সকল দিক অন্ধকারময় বোধ হয়, অতএব তোমার পিতা মাতা যে দিন যাত্রা করিবেন সেই দিন কিম্বা তাহার দিনেক অগ্রে তথায় যাইয়া উছিাদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া আসিবা। তখন শ্বশুর মহাশয়ের কথা আমার পক্ষে বজাঘাতের শব্দের মত বোধ হইতে লাগিল, আমি আরও ব্যাকুল হুইয়া কাদিতে লাগিলাম , অগত্যা তিনি