পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩ नप्लेनझिनैो । আমাকে সেই দিনই পিতার সঙ্গে আসিতে অনুমতি দিলেন। আসিবার সময়ে রোদন করিতে করিতে কত মতে বুঝাইলেন তাহার সীমা নাই এবং তীর্থ গমনের প্রতিকূলে পিতাকে ও আমাকে সম্বোধন করিয়া পৃথক রূপে বারম্বার কত প্রকার কাতরতা প্রকাশ করিলেন তাহা শ্রবণ করিলে পাষাণও দ্রব হয়, কিন্তু এ পাপিনীর হৃদয় এত কঠিন যে সেই স্নেহময় মহাগুৰু, আমি যাহার একমাত্র জীবন সৰ্ব্বস্ব ছিলাম, তাহার পাষাণভেদী বিলাপ বাক্য সকল আমার নিষ্ঠুর অন্তঃকরণকে স্পর্শ করিতে পারিল না ! যে বালকটকে এত কাল পুত্র বাৎসল্যে পালন করিলাম তাহাকেই বা কিরূপে কাছার হস্তে সমর্পণ করি এবং তাছার ক্ষেহই বা কিরূপে বিস্মৃত হই, ইহাও তিলেকের নিমিত্ত ভাবিলাম না। অবিলম্বে পিতৃভবনে আসিলাম, অবধারিত দিনে পিতামাতার সছিত তীর্থ যাত্রা করিলাম । আগম|দিগের সমভিব্যাহারে ব্রহ্মময়ী নাম্বী একটী বিধবা ব্রাহ্মণের কস্তা আর বিশ্বরঞ্জন নামে একজন ভিন্নজাতি যুবা পুৰুষ ছিলেন, পিতা তাহাদিগকে বিলক্ষণ সমাদরের সহিত সঙ্গে লইয়া যাইতেছিলেন। ক্রমে গয়া, কাশী, প্রয়াগ, প্রভৃতি পবিত্র তীর্থ সকল দর্শন করিয়া বৃন্দাবনে উপস্থিত হইলাম, অপরের মধ্যে কেবল সেই ব্রাহ্মণের কন্যাটীই আমাদিগের সঙ্গে থাকিলেন । সেই পুণ্য স্থানের অদ্ভত কীৰ্ত্তি এবং রমণীয়তা দর্শন করিয়া আপনাকে চরিতার্থ জ্ঞান করিলাম । এইরূপে তিন মাস গত, যে ব্রাহ্মণের ক্যাটী আমাদিগের সঙ্গে ছিলেন, তিনি কখন কখন আকার ইঙ্গিতে আমার নিকট অসৎ প্রবৃত্তির অনুগত কথা বলিতেন, এবং কুপথের অচলা মুখ স্বচ্ছন্দতার