পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৮

কানন | ఏ సిసి এই অবস্থায় আছি, তৎপরে আমি যে ঘরে বসিয়া ছিলাম সেই ঘরের নিকটেই যেন কে রোষভরে বলিতেছে “পাপীরসী আমার চন্দ্রতুল্য বংশকে কলঙ্কিত করিল ? দুৰ্বতা আমার পুৰুষানুক্রমের যশোবৃক্ষ উন্মুলিত করিল ? কলঙ্কিনী আমার চির-গৰ্ব্বিত ও স্বপ্রসন্ন বক্তত-গৰ্ব্ব একেবারে খৰ্ব্ব করিল ? আমি কোম্ মুখে আর আত্মীয় স্বজন সম্মুখে এ কালা-মুখ প্রকাশ করিব ? তাহাকে একবার দেখিতে পাইলেই স্বহস্তে তাহাৰ মস্তক চ্ছেদন করি, তাহা হইলেই এ অপরিমিত পরিতাপ পরিণাম প্রাপ্ত ছয় ।" আমি মনোনিবেশ পূর্বক সেই সকল কথা শুনিলাম, স্বরে বোধ হইল, পিতা আমার উদেশেই আৰ্ত্তনাদ করিতেছেন । একবার মনে করিলাম উচ্চৈঃস্বরে রোদন করি, অপবার ভাবিলাম যে অবস্থায় আছি ইহাতে কলঙ্কিনী ভিন্ন কেহই বিবেচনা করিবে না অতএব সহসা প্রাণত্ত সম্ভাবন । তখন এ পাপিনীর পাপ প্রাণের প্রতি আতিশয় মায়া জন্মিল, স্নেহময় পিতার কোপানল হইতে অব্যাহতি পাইবার নিমিত্ত সেই বিশ্বাসঘাতক বিশ্বরঞ্জনের শরণাপন্ন স্থইলাম । যে স্থানে ছিলাম সেস্থানটী কাকপক্ষীর অগোচর, কিন্তু পপক্রিয় কতক্ষণ গোপন থাকে ? একপক্ষ অতীত না হইতেই জনরবে পরিপূর্ণ হইল, উভয়েই বিচারালয়ে প্রেরিত হইলাম, এবং বিশ্বরঞ্জনের উপদেশ মতে ‘স্বেচ্ছা পূর্বক কুলধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া তিন দিবসের পর বিশ্বরঞ্জনের আশ্রিত হইয়াছি, এই কথা বলিয়া তথা হইতে দুই জনেই নিস্কৃতি পাইলাম। পিতা এত দিনও আমার অন্বেষণ করিতেছিলেন, বিচারালয় সম্বন্ধে আমার কৃত ব্যবস্কার জলরবে শ্রবণ করিয়া তথা ইষ্টতে অবিলম্বে প্রস্থান S q