পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ5ళ नप्लेमझिनैो । করিলেন । স্বদেশেপ্রতিগমন করিয়া আত্মীয় কুটুম্ব স্থানে আমার মৃত্যু হইয়াছে ইহাই ব্যক্ত করিলেন । হায় রে! এ অভাগিনীর মৃত্যুই কি সহজে হইবে ? এ পথে পদার্পণ করিয়াই এক প্রকার যমদণ্ডের বিপক্ষে ডঙ্কা মারা ছইয়া গিয়াছে, আবার সেই এক বারের মিথ্যা মৃত্যু জনরবে আমার পরমায়ু দিন দিন বৃদ্ধি হইতেছে। সে যাহাই হউক প্রায় তিন বৎসর এই অবস্থার বৃন্দাবনে বাস করিলাম, পরে আমার মাতৃ নামাঙ্কিত এক খানি পত্র প্রাপ্ত হইলাম ; পত্র খানির মৰ্ম্ম এই –পিতার স্বৰ্গ লাভ হইয়াছে, মাতাঠাকুরাণী যথোচিত শোককুল, আমাকে দেখিবার নিমিত্ত অতিশয় কাতরা হইয়াছেন। আমি সেই পত্র খানির কতক দূর পাঠ করিয়াই ভূতলে পতিত হইলাম, ক্ষণেক পরে আর্তস্বরে রোদন করিতে লাগিলাম। আমি কি লজ্জাহীন ! এই কালামুখে আবার পিতৃ বিয়োগ শোকের কথা প্রকাশ করিতেছি, আমি যে র্তাহাকে জীবদ্দশায় মৃতবৎ করিয়া রাখিয়াছিলাম ! আমি যে র্তাহার নিষ্কলঙ্ক কুলে কালী দিয়াছিলাম ! আমি যে তাছাকে অসছ লোক গঞ্জনায় নিক্ষিপ্ত করিয়াছিলাম ! তিনি আমারই কুচরিত্র জষ্ঠ লোকলজ্জা ভার বহন করিতে ন! পারিয়াই যে মৃত্যু মুখে পতিত হইলেন ! ইহা নিশ্চয় জানিতে পারিয়াও যখন তৎক্ষণাৎ নিষ্ঠুর প্রাণ-বায়ুর শেষ হইল না, তখন আর শোক কোথায় ! পর দিবস আমি বিশ্বরঞ্জনের সমভিব্যবহারে ভথ হইতে যাত্রা করিয়া নিয়মিত দিনে কলিকাতায় আসিয়া গোপনে মাত ঠাকুরাণীর চরণ দর্শন করিলাম। মাতৃস্নেহ কিছুতেই নু্যন হইবার নছে, তিনি এই কুলনাশিনীকে দেখিয়া যেন কত আহিলাদিত