পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বয়ঃপ্রাপ্ত । & তোমার বিবাহ দিতেও পারিব না । তোমার জাতির ঠিকানা নাই, তবে তোমাকে প্রতিপালন করিয়া আমার উপকার কি হইল ? বাছা! ও সকল কথা ছাড় ; এখন আমার মতে চল, যাতে তোমার ভাল হয়, আমার সেই চেষ্টা ; এতে আমাদের কোন পাপও নাই, আমাদের জগতের কৰ্ম্মইত এই ।” তখন দুঃখিনী কহিল "মাগো ! স্ত্রীলোকের সতীত্বধনের চেয়ে আর ধন নাই, এধন একবার গেলে আর ফিরে আইসে না, এই অমূল্য রত্ন নষ্ট করা যদিও তোমার মতে অকৰ্ম্ম বোধ না হয়, কিন্তু কোন মতে স্ত্রীলোকের উচিত নহে । প্রীণ পরিত্যাগ করিয়াও সতীত্ব রক্ষা করা উচিত, যদি এমন হয় যে তোমাদের জাতিতে নিন্দ কিম্বা পাপ নাই, যাহার ভোমীদিগের বংশে জন্ম হইয়াছে, তাহার পক্ষে হইলেও হইতে পারে, অামার জন্মের কোন স্থিরতা নাই বটে, কিন্তু পাপ অংশে নহে, ইহাও আমি নিশ্চয় বলিতে পারি, অতএব আমার অবশ্যই অধৰ্ম্ম হইবে সন্দেহ নাই ।” - অনন্তর যে সতীত্ব বলে সাবিত্ৰী অন্ধের চক্ষু প্রদান ও স্বীয় মৃত স্বামীকে পুনজীবিত করিয়া চিরস্বামিনী ও ভ্রবর্তী হইয়া পরম মুখে লোকযাত্রা নির্বাহিত করণস্তুর সশরীরে দিব্যলোকে গমন করিয়াছেন, নলসিমস্তিনী দময়ন্তী । যে সতীত্ব বলে বন্য হিংস্ৰজন্তুসমুহের করাল গ্রাস তথা দুনিবীর নৃশংশ ইন্দ্রির পরতন্ত্র নিষাদ হস্ত হইতে অপসৃত হইয়া পুনৰ্ব্বার স্বামীপুত্ৰ সহিত নিষধধিকারিণী হইয়াছিলেন, শ্ৰীবৎসপ্রিয়া চিন্তু যে সতীত্ব প্রভাবে স্বীয় লোকাতীত সৌন্দর্য্য প্রতিমা পরিবর্তে ৰুগ্ন ও জরাযুক্ত দেহে কিয়ৎকাল