পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪০

কণনন | J হুইলেন এবং স্থানান্তুর যাইতে আমাকে বারম্বার নিষেধ করিলেন, আমিও তাহার আজ্ঞানুসারে কলিকাতাতেই বাস করিলাম। সৎ মুকুন্দরাম নামক একজন আমাদিগের স্বজাতীয়, তিনিই অামাকে পত্র লিখিয়াছিলেন, আমার আগমন বাৰ্ত্ত শুনিয়া আমি যে বাটীতে ছিলাম, আমার সহিত সাক্ষাৎ করণশিয়ে সেই বাটতে সৰ্ব্বদ গমনাগমন করিতেন এবং লোকদ্বারা কতমত কাতরতা প্রকাশ করিতেন, আমি তাছাতে কেবল ৰুষ্টই হইতাম । এইরূপে মাসেক গত হইল, বিশ্বরঞ্জন হঠাৎ ওলাউঠা রোগে শমন ভবনে গমন করিলেন । আমি তখন সমতান্ত নিঃসহায়, অবসর পাইয়া মুকুন্দবাবু আরও আগ্রছ প্রকাশ করিতে লাগিলেন, অগত্য র্তাহাকেই অবলম্বন করিলাম । ক্রমে শুনিলাম পিতা মৃত্যুকালে মাতাঠাকুরাণীকে আর মুকুন্দ বাবুকে র্তাহার সমুদয় সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের ভারাপণ করিয়া গিয়াছেন, মাতাঠাকুরাণীও মুকুন্দ বাবুর অবাধ্য ছিলেন না, মুকুন্দ বাবুই একপ্রকার কুল্পে কৰ্ত্তা, তখন তাহার বিলক্ষণ অায় ছিল, আমাকেও সম্ভব মত যথেষ্ট অলঙ্কারাদি দিয়াছিলেন, আমার মাতাঠাকুরাণীও কখন কখন কিছু কিছু দিতেন। আমি অলপদিনে কিঞ্চিৎ সংস্থান করিলাম, ক্রমে আমার সছিত মুকুন্দ বাবুর সংঘটন গোপন রছিল না, মাতাঠাকুরাণী এবং আত্মীয়বর্গ সকলেই জানিতে পারিলেন, মুকুন্দ বাবুর উপর সকলেরই দ্বেষ জন্মিল, সকলে একবাক্যে “তিনি বিশ্বাসপাত্র নছেন এইরূপ প্রমাণ করিয়া রাজদ্বার হইতে র্তাহার আধিপত্য নষ্ট করিলেন । তাছার বাসস্থান কলিকাতা নছে,