পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి নটনন্দিনী । এই উপলক্ষেই এখানে বাস করিতেন, বিষয়টা হস্তান্তর হইলে আর এস্থানে থাকিবার বিশেষ অবশ্যকতা রহিল না, এবং আমার প্রতিও দিন দিন যত্বের কটা হইতে লাগিল, কিছু দিন পরেই তিনি আমাকে পরিত্যাগ করিলেন । অভাগিনীর ভাগ্য বড় মন্দ, শেষে অনেক দুৰ্দ্দশা ভোগ কপালে অাছে, তাহা না হইলে সেকালে আমার যে সঙ্গতি ছিল তদ্বারা কোন তীর্থে বাস করিয়া অনায়াসে দিন নির্বাহ করিতে পারিতাম, সে যে সৎকৰ্ম্ম তাহাতে প্রবৃত্তি জন্মিবে কেন ? আর ইহাও বুঝিলাম না যে যদি আমার সুখের কপাল হইবে তবে এত দুৰ্গতি হইবার কারণ কি ছিল ? আমি যে একপ্রকার রাজরাণী ছিলাম, সে ঐশ্বৰ্য্য আমার কপাল গুণেই নষ্ট হইয়াছে, এতেও চেতনা হইল না, তাহাই বা বলি কেন ? যদি আমার সৎবুদ্ধি হইত তবে কেন এত দুষ্কর্মের ফলভোগ করিতে হুইবে ? সুতরাং আমার অসৎপ্রবৃত্তির অস্তুর না হইয়া সংসর্গ গুণে বরং মদৃঢুকু খাওয়া বৃদ্ধি হইল, ক্রমে কলসির জলও গড়াইতে আরম্ভ করিলাম। কিছুদিন পরে আমার সঙ্গে একটা ভদ্রলোকের সংঘটন হইল, র্তাহার আচার ব্যবহারের কথা কি বলিব, যদি উপহার এই দোষট না থাকিত তবে র্তাহাকে ঋষি বলিলেও বলিতে পারিতাম। শুনিলাম তাহার প্রথম বয়সে ৰোগ্য স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় আর বিবাহ করিবার ইচ্ছা ছিলনা, তদবধি একটা স্ত্রীলোক তাহার নিকটে ছিল, সে স্ত্রীলোকটীও গত হইয়াছে, তাছার বয়ঃক্রম অধিক নছে (চল্লিশের উপর হুইবে না), কিন্তু পুনরায় বিবাহ করিতেও তাছার ইচ্ছা নাই এই সকল শুনিয়া আমি মনে করিলাম যদি তাছাকে