পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামম | ృ$(' মা দুঃখিনি ! তোমার নাম দুঃখিনী বটে কিন্তু যে পর্যন্ত সতীত্ব রত্ন তোমার অঞ্চল-বদ্ধ আছে সে পর্য্যন্ত রাজমহিষীরাও তোমা অপেক্ষায় অধিক সৌভাগ্যবতী নছেন , সতীত্বই প্রধান ধন ; এই অমূল্য ধন বিসর্জন দিয়া অষ্টালঙ্কারে ভূষিত হইয়া অতুল আধিপত্যের সহিত দিব্য অট্টালিকায় বাস করাও ঘৃণাকর । সতীত্ব সত্বে গাছের বাকল পরিধান, নিবরের বারি পান, দিনান্তে ফলমূল ভক্ষণে প্রাণ ধারণ, এবং ভয়শঙ্কুল হিংস্র জম্বুগণের সহিত বৃক্ষমূলে শয়ন, ইত্যাদি সাধী-স্ত্রীর পরম আভরণ রূপে পবিত্র শরীরের সুসজ্জা সাধন করে, বিপদ শব্দও তাহার কর্ণগোচর হয় না। পরলোকে দেব লোকের প্রতিও আধিপত্য প্রকাশ করিতে পারেন । বাছা ! আমাদিগের ভাগ্যে যাহা ছিল ঘটিয়া গিয়াছে, এক্ষণে প্রার্থনা করি যেন অতিবড় শক্রকেও ভগবান এ পথে পদাপন করিতে প্রবৃত্তি প্রদান না করেন । আমার এ অবধিই শেষ, এক্ষণে কুসুম বিবির রঙ্গ ভঙ্গি গুলি শুনিয়া খেদ মিটাও, এই কথা ৰলিয়া কালন সজল নয়নে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক নিস্তব্ধ হইলেন। তখন বিমলা বলিল “এসো গো কুসুম ! এবার তোমার মাথায় ফুলের মালা ছড়াট দিয়ে দিই, এইবার তুমি বেদিতে বসিলেই হয়” । কুসুম হাসিতে হাসিতে কহিল “নে ভাই ! তোদের যেমন আর খেয়ে দেয়ে কাব্যনাই, আমার কথাই বা কি ? আর বোল্‌বেই বা কি ? তাই কি দুটো কথা তোদের মত সাজিয়ে বলতে জানি ? এই যে তোরা কত রকম ভাবভঙ্গি করে এক এক জন ছুদিন তিনদিন ধোরে গণপ কল্পি, কানন