পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামম | ు ধৰ্ম্ম নষ্ট করিবেন এ কথায় আমার সন্দেহ হইতেছে, কেন না, দুগ্ধ মন্থন করিলে নবনীত ভিন্ন কালকূট বিধ উঠিবার কোন সম্ভাবনা নাই। আমি অনুমান করি, ভগবান দুঃখিনীর দুঃখে দুঃখিত হইয়া, ব্রহ্মচারী রূপে ইহাকে ত্বরায় উদ্ধার করিবার উপায় অনুসন্ধান করিতেছেন। বিশেষতঃ তিনি আপনিই বলিলেন, যে বিপদগ্রস্তকে বিপদ হইতে মুক্ত করাই তাহার প্রধান সংকল্প, এস্থানে এ কথাটা দুঃখিনীর পক্ষেই বিশেষ মঙ্গলদায়ক ; কেন না দুঃখিনীই যথার্থ বিপদাপন্ন । পুলিনবাবুর বিপদ ত মুখ ইচ্ছা , তাহার মনস্কামনা পূর্ণ হইলে একজনের ধৰ্ম্ম নট হয়, না হইলে কিছুই হানি নাই, সেই শান্তমূৰ্ত্তি তপস্বী যে অধৰ্ম্মের উৎসাহ বৃদ্ধির হেতু হইবেন ইছা স্বপ্নের অগোচর। মা দুঃখিনি, তুমি ব্রহ্মচারী ঠাকুরের আগমনে ভীত হইও না, তাহার সম্মুখে বিনয়ের সহিত তোমার মনের ভাব প্রকাশ করি ও ; আমি নিশ্চয় বলিতেছি যে তিনি তোমাকে অবশ্যই মুক্ত করিবেন।” দুঃখিনী উত্তর করিলেন, “দেখ মা ! আমি অণর কাইণর • সাহায্যের প্রার্থনা করি না, অামার সহায়, সম্পfল, গুণ, জ্ঞান, বল, বুদ্ধি সকলই তোমাদিগের অনুগ্রহ, তেমদিগের রূপায় আমি অবলীলাক্রমে মুক্ত হইতে পারিব, অতএব ব্রহ্মচারী ঠাকুরের নিকট বিময় করা, কিম্বা আমার মানস ব্যক্ত করিয়া র্তাহার সাহায্যের প্রার্থন প্রয়োজন কি ?” কানন কহিল, “দুঃখিনি ! কোন বিৰুদ্ধভাবে বলিতেছি ন', আমাদিগের সাধ্য পক্ষে কোন প্রকারেই যত্নের এটি হইবে না, কিন্তু মা ! তিনি পুরুষ মামুস, তিনি মনোযোগী হইলে আমাদিগের যোগে কোন একটা যুক্তি দ্বার: অনায়াসেই ンVP