পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুম । లిసి মাচ মারা মানুষ মারা ইহাদের সমান জ্ঞান। আবার ব্রাহ্মণ ঠাকুরদের এককাটি বাড়, তাদের একটী মেয়ে জন্মিলেই, বলত একপ্রকার বড় মানুষ হলেন । মেয়েট তিন বছরে পোড়তেই তার বিবাহের চেষ্টা করিতে থাকেন। ছোট ছোট মেয়ে তাই নিয়ে বিবাহ দেন ; কিন্তু যিনি বর তাহারত ঐ বিবাহ করাই শেষ । বিবাহের পর হয় শ্বশুর বাড়ী যাচ্ছেন কি সেখান থেকে ফিরে আসবেন, সেই পথেই কনের বাপই থাকুন কি ভাইই থাকুন, তাকে পঞ্চভূ পাইয়ে দিয়ে কনের মাতার সিঁদুর মুছে দিয়ে আবার বিয়ে দেবার চেষ্টা করেন। ক্রমে মেয়ে যত বড় হয় ততই দর বাড়ে, এমন একবার দুবার নয়, মেয়ের তের চোদ্দ বছর বয়স পর্য্যন্ত, যত বার করে উটুতে পারেন চেষ্টার ক্রটি করেন না ; যার পরমায়ু অখও সে শেষ বারে তাদের জামাই হয়, আবার তার সঙ্গেও বিবাদ বিসম্বাদ করেন, যাতে পরস্পরের মুখ দেখা দেখি না থাকে, তাই করেন। আমিও জন্মান্তরের কঠোর তপস্যার ফলে, তাদের মধ্যে এক ব্রাহ্মণের কন্যা হয়ে জম্মিয়াছিলাম ; ক্রমে দশ বৎসর বয়সের মধ্যে ঐ রূপ তিনটী চাদ পান ভাতারের মাথা খেয়েছি, দয়ালু পিতার আকিঞ্চনের ক্রটি ছিল না ঘটলে আরও দুচারটা খেতে পার তেম, লোকের পরমায়ু শেষ হওয়া চাইত, কিছু দিন আর বিবাহ যুঠে উঠেন; যখন আমার বয়স তের বৎসর তখন মনে কল্লেম, এরা আমার বিবাছ দিয়ে টাকা উপায়ের চেষ্টা কৰুন, আমিও এদিক ওদিক হাত বাড়াই, আমারই বা পৃথিবীর ভোগে বঞ্চিত হওয়ার ফল কি ? এইরূপে কিছু দিন যায়, পরে কলিকাতার নিকটবর্তী কোন পল্লীগ্রাম