পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పే 88 নটনন্দিনী । মন্দ কথা আর কি সহ্য হয় ? দিন কতক পরেই সেই নবকুমারকে সহায় করে, সংসারে জলাঞ্জলি দিয়ে বেৰুলেম । নবকুমার আমাকে নিমতলায় একখানি ছোট ঘর ভাড়া করে রেখে, আপনার বাড়ীতে গেল, আমি কোথায় থাকলেম কি কল্লেম তখন কেহই জান্তে পাল্পে না । নবকুমার সর্বদাই আমার কাছে আসতো বটে, কিন্তু অতি গোপনে । থাকৃতে থাকতে সেখানকার লোকের সঙ্গে আলাপ হলো, আমার ঘরে আরো লোকের যাতায়াত হতে লাগলো। অদৃষ্ট ক্রমে, ইতর ভিন্ন ভদ্রলোকের মুখ প্রায়ই দেখতে পেতেম না। আমি দেখতে মন্দ ছিলাম না, বয়স অলপ । যদি কখন কোন ভদ্রলোকের চক্ষে পড় তেম আর তিনি আসবার চেষ্টা কৰ্ত্তেন, আমার সংসর্গ দেখে আর মুখের বোল শুনেই বাপ বাপ করে পালাইতে পথ পেতেন না। যেমন সঙ্গ তেমনি সভ্যতা, পিতৃ মাতৃ উচ্চারণ ভিন্ন মুক দিয়ে প্রায় কথা বেৰুত না; তাও যেমন শুনৃতেম তেমমি বলতেম, নুতন নুতন তর বিতর হাসি হাস্তেম, পাল খানেক পাড়া গেয়ে নাপীত, কুমার, কামার, তাতি, শুড়ি, গোয়াল, চাশা, গজাখের, গুলিখোর আর পেঁচি মাতাল নিয়ে, দিনরাত কেঁতার্কেতি মারামারি খেয়োখেয়ী করে কাল কাটাতেম। পেটে খাওয়া হোক না হোক আমোদ হলেই চরিতার্থ। উপায় উপার্জনের মধ্যে দিন কতক কেউ কেউ দুচার জান দিতো, তার পর আমার গতিক দেখে সকলেই ছাত গুড়িয়ে বোসলো। যে টাট-খানি মুটি-খানি নিয়ে ঘর থেকে এসেছিলাম, তাই বেচি আর মদ খাই ; এইরূপে হাতের পায়ের সব ঘুচে গেল, ধারে কর্জে ডুবে গেলেম, হাত পাতি এমন যো নাই,