পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8') নটনন্দিনী । লেম ইহার কাছেই কেঁদে কেটে কিছু খাবার নিয়ে আসি, কিন্তু অভাগীর কপালে তখন দোকান খানি বন্দ হয়ে গিয়েছে ; কাছে গিয়ে মুদীর ছেলের নাম ধরে দুই একবার ডাকলেম, উত্তর পেলেম না। তখন দুষ্ট সরস্বতী ঘাড়ে চাপলেন, ভাবলেম এদের ত সাড়া শব্দ কিছুই পেলেম না, বেস্ ঘুমিয়ে পড়েছে দেখুচি, যে করে না হয় কিছু নিয়ে যাই, হাতে পয়সা হলে তখন দিয়ে ফেলবো । এই মনে করে, অাস্তে আস্তে বাপ ঠেলে দোকানে প্রবেশ কল্লেম । অন্ধকারে হাতডাতে ছাতড়াতে একটা খালি হঁাড়ি পড়ে ভেঙ্গে গেল, শব্দটও বিলক্ষণ হয়ে উঠলো, আমি ভরে জড় সড় হয়ে একট কোণে দাড়িয়ে আছি, এমন সময় দোকানীরা পিতা পুত্রে উঠে বস্লে, তাদের মনের কথা ধর্শ্ব জানেন, সেই ছাড়ি পড়া উপলক্ষে কথায় কথায় দুজনে ঝকৃড়া করে মারামারি আরম্ভ কল্পে, শুনৃতে তাদের মারামারি, কিন্তু মারগুলি সবই আমার পিঠের উপর, এক এক বার বকবিকি করে, মারবার সময় দুজনে আমাকেই মারতে লাগলে । আমি একে সমস্ত দিন অনাহারী, তার উপর সেই নির্দয় প্রহারের যন্ত্রণ আর কতক্ষণ সম্ভ হয়, ক্রমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হলো, চুপ করে আর খণকৃতে পাঙ্কেম না, অস্তে আস্তে বন্ত্রেম “ক্ষমাকর আর মেরে না," মুদি বল্পে “হারে পজিবেটা মারবো না বৈকি ? তোমার হাড় একঠাই, মাস একঠাই, করে তবে ছাড়বে।" বোলেই আবার নুতন করে আরম্ভ কল্পে । আমি নিৰ্দ্দম হয়ে পড়লেম, কথা কবার শক্তি প্রায় নাই, কিন্তু দেখলেম প্রাণ যায়, টি টি করে বন্ত্রেম “ওগো আমি কুসুম আমার প্রাণ