পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুম | S84 যায়, আমাকে ছেড়ে দেও” আমার কথা শুনে তারা প্রদীপ জ্বল্পে, তখন আমার উখান শক্তি নাই, পিপাসায় ছাতি কেটে যাচ্চে, একটু জল খেতে চাইলেম, মুদির ছেলে একটা সন্দেশ আর এক লোটা জল দিলে, তাই খেয়ে উঠে বস্লেম, মুদি মিন্‌সে সেই প্রদীপ জ্বেলেই পাছ চাপড়াতে চাপড়াতে “আহা ! মেয়েটাকে মেরে ফেঙ্কেম, তোমরা এসে দেখ গো ?" এই বলে পাড়ার লোক জড় কম্বে, আমি লজ্জায় আর মুক তুলতে পাল্লেম না, কতলোকে আরও কত কথা বলতে লাগলো ; আমি ঘাড় হেঁট করে ছাপুস নয়নে খানিকক্ষণ র্কাদ্বলেম । সে রাত্রে ঘরে গেলাম না, লোকের ভিড় কতক কতক ভেঙ্গে গেলে সেখান থেকে উঠে, বরাবর চলে এসে, এদের আশ্রয়ে পড়লেম । এখনও কোন দিন ভগবান চালান, কখন কখন আপনাকেও চালাতে হয়। শুনৃলে মা ? এ পথের সুখ সম্পত্তি শুনলে ? এটা কেবল আমি বলেই নয়, এমন প্রায় অনেকেরই ঘটে থাকে, এ কৰ্ম্মের ফলই এই । বাছা ! যদি মন নিবিষ্ট করে সংসারে থাকৃতেম, তা হলে এত ক্লেশ কখনই পেতে হোত না, সরকারী ধামার মত যেখানে সেখানে পিটুনি খেতে হত না, পেটের চিস্তাও কৰ্ত্তে ছোত না । আক্ষেপ করাও বৃথা, কেন না আগুনে বাপ দিলে শরীর দগ্ধই হয়ে থাকে, শীতল কখনই হয় না, কিন্তু সামান্ত আগুনে পুড় লে, কালে আবার জ্বালা নিবারণ হবার সম্ভাবনা আছে, এষে বিসম আগুন, এ আগুনকে একবার স্পর্শ কষ্ট্রে, জীবন মরণে সমান জ্বালাতন হতে হয় । এই কথা কছিতে কহিতে কুমুম কিঞ্চিং বিমর্ষ ছইল,