পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8b- নটনন্দিনী । তখন যামিনী মুখ তিমিরাবরণে লুক্কায়িতা, নিশাঁখিনীকে তৰুণভাবে অম্পে অণেপ সমাগত দেখিয়া, তারকা রাজি হাস্যমুখে আপন আপন নির্দিষ্ট স্থান হইতে বিক্রম বিকাশ করিতে আরম্ভ করিল। এই অবসরে যেন চক্রভেদিনীকে সহচারিণী করিয়াই, সদানন্দ ব্রহ্মচারী দুঃখিনীর বাস গৃহে শুভাগমন করিলেন । দুঃখিনীর গৃহাভ্যন্তরে ব্রহ্মচারী প্রবিষ্ট হইলেন, পুলিনবাবু অলক্ষিত রূপে ইছা দর্শন করিয়া, তদীয় ভবনে প্রতিগমন করিতে আর বিলম্ব করিলেন না । বেশু্যাগণ ব্রহ্মচারীর সমাগমে তটস্থা, সসন্তুমে গাত্ৰোথান করিয়া যথা নিয়মে নমস্কার করত বসিতে আসন প্রদান করিল। দুঃখিনী স্নানমুখে গললগ্নক্কভবাসী হইয়া ভূমিষ্ঠ প্রণাম করিলেন। ব্রহ্মচারী স্বীয় পবিত্র দক্ষিণ কর পল্লব, প্রণত সরল হৃদয়৷ দুঃখিনীর শিরস্পর্শ করত অনতিপরিস্ফুট বচনে “ বংসে ! অচিরাৎ সিদ্ধকমা হও, ?” বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । প্রণমানস্তর বেশু্যাগণ একপাঙ্গে কুষ্ঠিত ভাবে দণ্ডায়মান, দুঃখিনী মস্তকোত্তোলন করিয়া এক একবার ব্রহ্মচারীর পাদপদ্ম দর্শন করেন, আর সুক্ষম নির্বর প্রস্রবণের স্যায় অজস্র অশ্রুধারা উহার নয়নযুগল হইতে বিগলিত হইতে লাগিল । ব্রহ্মচারী পরিস্পদ বিশ্লিষ্ট ভাবে নেত্রমিথুনের নিমেষাপনোদন করিয়া, ভষ্মনে ক্ষণকাল সেই সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দরীর সর্বাঙ্গীন সুগঠন এবং আতপতাপে বিশীর্ণমান ছিন্ন বৃন্ত আবিস্ফরিত কমল কোরক সদৃশ বিষন্ন মুখকমল নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। দেখিতে দেখিতে র্তাহার নয়নদ্বয় ঈষৎ প্রসারিত হইয়া, সজল অকণিমা প্রাপ্ত হইল । তপোমণির চিত্ত বিরুতির সাক্ষ্য স্বরূপ এই