পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুসুম । >む> এ পাপিনীয়াই হইয়া থাকে, তবে অজ্ঞ কৰুণ, আমরা এক্ষণেই স্থানান্তরে গমন করি । ভগব ! আমরা মহাপাপিনী, কিন্তু দুঃখিনীর অনিষ্টকারিণী নহি । দুঃখিনীর পরিত্রাণ আমাদিগের প্রধান সংকল্প।” দুঃখিনী কছিলেন “ পিতঃ ! যেমন শশাঙ্কে কলঙ্কাপবাদ, ই হাদিগের সুনামও ভদ্রপ, নতুবা সরলতা এবং দয়া প্রভৃতি অসামান্ত গুণগুলি ইর্ষাদিগকে সম্যক রূপেই আশ্রয় করিয়াছে। এতদিন ই হারাই আমাকে স্বধৰ্ম্মের সহিত জীবিত রণথিয়াছেন।” এতৎ শ্রবণে ব্রহ্মচারী মুক্ত কণ্ঠে কহিয়া উঠিলেন, “কৰুণাময় ! আপনার কৰুণাময়ী মহিমা জলনিধিতে সস্তরণ সক্ষম মহাপুৰুষ অতি বিরল । বিভো ! যদি সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তি সোপান নির্দেশ করিলেন, তবে এই অদূৰিতা অবলাকে এরূপে দুস্তর কূপে নিক্ষেপ করিলেন কেন ? অথবা পঙ্গু হইয়া উচ্চতর দুরারোহ লীলাচল উল্লঙ্ঘন করিতে যত্নবান হইলে, হাস্যাম্পদের কারণ হইয়া উঠিব।" তদনন্তুর বেশু্যাগণকে সাদরে বসিতে আদেশ করিলেন, এবং স্বয়ং আসন গ্রহণ করিয়া সম্লেছে কছিতে লাগিলেন, “বৎসে ! নিঃশঙ্কা হও , ভগবান তোমাকে নিস্কৃতি দিবার উপায় অগ্ৰেই সৃষ্টি করিয়াছেন । তোমার সরল এবং পবিত্র চিত্তবৃত্তির পক্ষপাতী জীবমাত্রেই হইবে সন্দেহ নাই । সময় ক্রমে স্বয়ং বিধাতা সাকার রূপে তোমার বিপদৃপাতের বিপক্ষ হইবেন, অতএব তোমার সশঙ্ক হৃদয়কে আশঙ্কা বিশ্লিষ্ট ও আয়ত্ত কর । আমি অচিরে এই অনুগতবৎসলা মহিলাগণের সাহায্যে তোমাকে গতবিপদ করিয়া আত্মতৃপ্তি লাভ