পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগুতপস্বী । && বিধবা কুলাঙ্গনা ধূলিখুষরিতকলেবর নেত্রজলে প্লাবিত, ভক্তি ভাবে আমার সম্মুখে আসিয়া গলবাসে প্রণাম করিলেন। বীয়সীর নিরীহ এবং অকৃত্রিম শোক চিহ্নিত প্রতিম দর্শন করিয়া, তাহার মনো বিকারের কারণজ্ঞ হইবার নিমিত্ত, হৃদয় নিরতিশয় কাতর হইয়া উঠিল । “মঙ্গল হউক” বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলাম ; যোষিৎ রোদন করিতে করিতে বলিলেন, “দেব ! দেবতা বুঝি আমার মঙ্গলামঙ্গল সকলি অপহরণ করিলেন, আমার মঙ্গল ঘট বুঝি বিসর্জন দিতে হয়।” আমি আশ্বাস বাক্যে কছিলাম, “মাতঃ ! স্থিরা ভব। আপনার এতাধিক চিত্তবৈকল্যের কারণ কি ? যদি মাদৃশ গণ হইতে তাহার কোন প্রতিকার সম্ভব হয় আমি অক্ষুণ্ণান্তকরণে ও প্রাণ পণে তাছা সাধন করিয়া আপনকার অন্ত- স্তৃপ্তি সম্পাদন করিব।” পুরন্ধী উত্তর করিলেন “প্রভো ! শোকের কারণ মুখে প্রকাশ করিতে বুফ বিদীর্ণ হইয়া যায়, হতভাগিনীর জীবন সৰ্ব্বস্ব একমাত্র পুত্র লক্ষীশ্বর শয্যাগত, ত্বরায় আসিয়া তাছার মস্তকে চরণার্পণ কৰুন " আমি সেই বৃদ্ধার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইয়া দেখিলাম, বিপ্র লক্ষীশ্বর বিকলাঙ্গ শয্যায় শয়ান আছেন ; দুই পার্শ্বে পুরসুন্দরী গণে তাল বৃত্ত ব্যজনাদি দ্বারা শুশ্রুষা করিতেছেন। একটী নবীন অবগুণ্ঠনবতী প্রকৃতি, নেত্রনীরে পরিপ্লতা, গদগদ দীন বেশে সেই গৃহের এক পার্থে অবিচলিত ভাবে দণ্ডায়মান, সেই রমণীরত্বের ব্রীড়াবনত কমনীয় কান্তি দর্শনে বুঝিতে পারিলাম, যে তিনিই লক্ষীশ্বরের সহধৰ্ম্মিণী । শিরোভাগে উপবেশন করিয়া, সদাশিব নামে অপর একজন ব্রহ্মচারী, তাছার মস্তকে মন্ত্রপুত রক্ষা বন্ধন করি२ ०