পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 নটনন্দিনী । তেছেন ; কিন্তু তাহার নয়নদ্বয়, সেই স্নানাননা লক্ষীশ্বরের তৰুণীর তৰুণ লাবণ্য জলধিতে সস্তরণ করিতেছে। আমি তথায় উপস্থিত হইলে, কামিনীগণ আমাকে যথা নিয়মে প্রণাম করিলেন। সদাশিব তৎক্ষণাৎ আসন পরিত্যাগ পূর্বক গাত্রোথান করত কছিলেন, “বিলম্ব কি ? সত্বরে দেবীর আচর্চনাস্তুে প্রসাদ গ্রহণ করা আবশ্বক, কাল ব্যাজে অত্যহিত ঘটিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা ।” স্থবির সকাতরে উত্তর করিলেন, “প্রভো! দেবীপূজার সমস্তই প্রস্তুত ছইয়াছে, আর কাল হরণ করিবার প্রযোজন নাই ।” সদাশিব বলিলেন “লক্ষীশ্বর তথায় গমন করিতে সক্ষম নছেন, তাহার মাতা প্রতিনিধি স্বরূপ তাহার আরোগ্য কামনায় কৃতসংকণপা হইবেন, তাহার স্ত্রী আর দুই চারি জন দাস দাসী, যাহাদিগকে পরিচর্য্যার জন্ত নিতান্ত আবশ্বক এবং বাদ্যকর কয়েক জনা ভিন্ন, আর অধিক লোক সমভিব্যাহারে গমন করিলে, সমাধিসম্পন্ন মহাযোগীবর যিনি তথায় অবস্থিতি করেন, র্তাহার যোগবিন্ধ উৎপাত উপস্থিত হইবে।” সেই অপরিজ্ঞাত দেবীপীঠ এবং মছাযোগীর আশ্রম, দর্শন করিতে আমার ঔৎসুক জন্মিল। আমি লক্ষীশ্বরের মাতার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া, মুখ ভঙ্গিদ্বারা গমনাভিলাষ প্রকাশ করিলাম। তিনিও তদনুসারে প্রার্থনা করাতে, সদাশিব ক্ষণমাত্র নিস্তব্ধ হইয়া, কি বিবেচনা করত উত্তর করিলেন, “তপশ্চারীগণের পক্ষে দেবম্বার সমুদায়ই উদঘাটিত আছে, যথেচ্ছা গমন করিতে পারেন।” উছাদিগের এইরূপ কথোপকথনের সময়, আমি মনোনিবেশ পূর্বক লক্ষীশ্বরের আপাদ মস্তক, বিলক্ষণ রূপে নিরীক্ষণ করি