পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগুতপস্বী । ( সকলেই সেই দিগে অামার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিলেন । সদাশিব অগ্রসরে যোগীবরের অঙ্গৈক দেশাচ্ছাদিত মৃত্তিক মোচন করাতে, তৎস্থান যেন ক্ষার লিপ্ত স্বর্ণবিগ্রহের প্রত্যঙ্গের দ্যায় বোধ হইল। যে বৃক্ষের ছায়াতলে যোগীবর সমাধি স্যাসে নিবিষ্ট, সে বৃক্ষটকে পূৰ্ব্বে বদর বৃক্ষ জ্ঞান করিয়াছিলাম, কিন্তু সেটা তুলশী বৃক্ষ, তুলসী বৃক্ষের এতাদৃশ দৈর্ঘ সেই স্থানেই দেখিয়াছি। - মহাযোগীর অবয়ব অণুমাত্র বিকৃত হয় নাই, তিনি সহস্রারচ্ছতি অমৃত রসে রসনা সংলগ্ন করিয়া, তৎপানে মৃত্যুকে পরাজিত করিয়াছেন । ভৌতিক দেহ ভারেও ভারাক্রান্তু নহেন, তাহার বাছোন্দ্রিয় নিশ্চল, কেবল জ্ঞানেন্দ্রিয় গণকে একত্র সংযত করিয়া, পরম তত্ত্বে যোজনা করত, জীবন্মুক্তি প্রাগু হইয়াছেন। সেই পরমধনকে অবলোকন করিলে, পাষণ্ডের অন্তঃকৰণেও দৃঢ় ভক্তির উদয় হয়। আমি র্তাহাকে দর্শন করিয়া, আপনিই কৃতকৃতাৰ্থ জ্ঞান করিলাম । চক্ষু পদার্থস্তির বিলোকন বিফল জ্ঞানে অচঞ্চল হইয়া, সেই দিগেই পড়িয়া রছিল। এই পবিত্র ভূমি পরিত্যাগ পূর্বক তনুভার বহন করিয়া, অকারণ ইতস্ততঃ বিচরণ নিষ্প য়োজন বিবেচনায় চরণ স্থিরভাব অবলম্বণ করিল। এই সময়ে সদাশিব কছিলেন, “দেবীপূজার উপযুক্ত কাল অতীত হইবে, অতএব পূজাত্তে বর প্রাপ্তির পর, পাৰ্ব্বতীয় সৌন্দৰ্য্য দর্শনে ক্ষণকাল কালক্ষেপণ করিলে ক্ষতি নাই, এক্ষণে চল পূজাদি সমাপন করা যাউক ।” তৎপরে সদাশিবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ, পুনরায় সেই কন্দরাঙ্গণে গমন করিলাম।