পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

×აy8 नफेबमिर्मी । হইলাম, তাহাই উদ্দীপ্ত ক্ষুধাগ্নিতে আহুতি প্রদান করিলাম । ক্রমে সায়ংকাল সমুপস্থিত, হিংস্র জন্তু ভয়ে নিস্কৃতির নিমিত কায়ক্লেশে নিবিড় প্রশাখাছন্ন নিম্বশাখ শাখীর স্কন্ধদেশ উদ্‌গমন করত, ভৰুভুজের আশ্রয়েই রাত্রি যাপন করিলাম। দিবসে কল ভোজন, বৃক্ষ স্বন্ধে রাত্রি যাপন, এই রূপে দুই দিবস গত, তৃতীর দিবস প্রাতঃকালে ভাবিলাম, কতিপয় দিবসের দ্যায় অসুপ্ত এবং ঈদৃশ বিজন বনবাসাদি ক্লেশকর অবস্থা সহমাপেক্ষায়, কষ্টস্তষ্টে জনপদাভিমুখে গমন করাই শ্রেয় ; বিশেষতঃ বিজয়পুরের সেই বিস্ময়কর ব্যাপারটা আমার স্মৃতিপথে উদিত হইয়া, তাছার চরম দেখাইবার জন্য, উপযুপিরি আকর্ষণ করতঃ অন্তঃকরণকে স্কৃতির হস্ত হইতে বলপূর্বক অপহরণ করিল। ব্যস্ততার সহিত চতুর্দিক দেখিতে দেখিতে নিম্বে অবরোহণ করিতেছি, দূর হইতে কে যেন দ্রুতপদে আমারই দিকে আসিতেছে । এই জনশূন্য বনমধ্যে কোন প্রয়োজন সাধনেচ্ছায় কে আসিতেছে ? মানব কি ? আগন্তুক যতই নিকটবৰ্ত্ত হয়েন, ততই দৃষ্টপূৰ্ব্বের স্থায় অনুভব হয়, দেখিতে দেখিতে আমার আকুল সময়ের অনুকুল কুলে অবতীর্ণ হইলেন । যে স্থলে আমার জীবন রক্ষার হেতু অবলম্বিত কাষ্ঠ ফলক পতিত ছিল, তথায় দাড়াইয়া প্রফুল্ল মুখে কহিতে লাগিলেন । “এই যে প্ৰাণেশ্বরী আসিতেছেন, হৃদয় ! তুমি এখনও কাতর হইতেছ কেন ? তোমার আর ব্যস্ত হইবার কারণ কি ? এই বার ত তোমার কামনা পূর্ণ হইল ? তুমি যাহার অনুসরণে সাগর । সিঞ্চন করিয়াছিলে, সেই অমূল্য রত্নকে এখন তোমার চিরতুষণ করিয়া রাখিতে পরিবে । কৰ্ণ যে মধুর কণ্ঠের অনিৰ্দেশ্য