পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশ কুসুম । やや堂 অপরিস্ফুট দুই একটা বাক্য শুনিবার জন্য তুমি লালায়িত হইতে, সেই সুধাবী কণ্ঠ হইতে দিবানিশি অবিশ্লিষ্ট ভাবে, অমৃতময় অনুকূল বচন প্রণালী নিস্থত হইয়াতোমাকে পরিতোষিত করিবে । নেত্র মিথুন ! তোমরা কি এ এখনও বুঝিতে পার নাই যে, আজ তোমাদিগের কি মুভদিন উপস্থিত ? অাজ তোমাদের কি মুভক্ষণেই রাত্রি প্রভাত হইয়াছিল ? প্রিয়তমার মধুর মাধুরীর ছায়া মাত্র তড়িদর্শন করিলে তোমরাই না স্বৰ্গ ভোগ তুচ্ছ জ্ঞান করিতে ? এখন প্রস্তুত হও, তোমাদিগের আনন্দদণয়িণী প্রবল শত্র নিমেষকে বিনাশ করিয়া চিরকালের নিমিত্ত নয়ন পথের পথবর্তিনী হইতে আসিতেছে । আহা ! চাৰুনয়নার সুচাৰু নয়নে মিলিত হইয়া না জানি আজ তোমরা কত সুখই সম্ভোগ করিবে । করদ্বয় ! তোমরাই আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে সার্থক জন্মগ্রহণ করিয়াছিলে, তোমাদিগকে যাবজ্জীবনের মত জীবনময়ীর বেশ বিন্যাসে নিযুক্ত করিলাম , তদুপলক্ষে সেই সুকোমল অঙ্গলতিকার স্পর্শ সুখ অনুক্ষণ অনুভব করত, চরিতার্থতা লাভ করিবে । এই যে জীবিতেশ্বরী নিকটে এলেন ! কৈ সে সৰ্প কৈ ? ঐ যে সেই কঁশিট যেমন তেমনিই আছে, পবনাশন বুঝি পলায়ন করিয়া থাকিবে ।" বলিতে বলিতে উন্মত্তের স্যায় হইয়া, শশব্যস্তে লম্ফ প্রদান করত শ্রোতমুখে পতিত হইলেন এবং কাষ্ঠময় বৃহদাকার এক সিন্ধুক ভাসাইয়া লইয়া তৎক্ষণাৎ সেই স্থানেই ੋਂ হইলেন ও বহুষত্বে সিন্দ্রকটকে কূলে উঠাইলেন। আমি অনন্যানুভূত প্রচ্ছন্ন ভাবে এত নিকটে ছিলাম যে, সিন্ধুকের ভিতরের নিশ্বাস বায়ুর গেস্ ফেঁস্ শব্দও আমার কর্ণগোচর হইয়াছিল।