পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్క్రిసి নটনন্দিনী । আগন্তুক তখন কায়মনে সিন্দুকের আবরণ উদঘাটন করিবার চেষ্টা করিতেছেন, উৎসাহের সীমা নাই, মুহুর্মুহু আশ্বাস প্রদান এবং প্রাণের সহিত প্রিয়সম্ভাষণ করিতে ক্রটি করিতেছেন না । “মনময়ি! চিতরূপিান! প্রাণপুত্তলিকে ! তোমার রোদন করিবার কারণ কি ? তুমি কি জাননা, আমি তোমার নিমিত্ত পৃথিবী পরিত্যাগ করিতেও উদ্যত ছিলাম। আমি তোমার নিমিত্ত কোন অপকৰ্ম্মই বা না করিয়াছি। প্রিয়তমে ! ভয় নাই, আমি তোমাকে অনাদর করিব না, আণমি যাবজ্জীবন তোমার ক্রীতদাস হইয়া রছিলাম, তবে একমাত্র দুঃখ থাকিল, তোমার সুকুমার সর্বাঙ্গে সুসঙ্গত আভরণ বিন্যাস করিয়া, মুসজ্জীভূত দর্শনে লোচন সার্থক করিব একান্তই মানস ছিল। ভগবান আমাকে সেই সুখেই বঞ্চিত করিলেন, কেননা তোমাকে লইয়া নির্জনে অবস্থান ভিন্ন, জনালয়ে গমন করা কোন ক্রমেই উচিত নহে। অথবা পূর্ণ চন্দ্রমার শীত রশ্মিই অলস্কার, ধবলছ্যুতি সংলগ্নে নক্ষত্র মালার উজ্জ্বলতা বিশ্লেষিত হইয়। যায়, কিন্তু শ্বেতকান্তির বিমল কান্তি সমভাবেই দেদীপ্যমান থাকে, কিছুতেই তারতম্য প্রাপ্ত হয় না। প্রিয়ে! তোমার প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিকী রমণীয়তাই সৌন্দর্য্য ভাণ্ডার । মণি, মুক্ত প্রবালাদিতে তোমার সুশ্রীকতার গৌরব বৃদ্ধি করা দূরে থাকুক, বরং তোমার অঙ্গ প্রভার প্রভাবে তাহারাই নিষ্প ভ হইবে।” এই কথা বলিতে বলিতে আগন্তুক যেমন সিন্দ্রকট নিরাবৃত করিলেন, অমনি সেই সিন্দুকের গর্ভ হইতে দীর্ঘকায় কাল কুগুলী নিষ্কাশিত হইয়া সগৰ্জ্জনে ফণা বিস্তার পূর্বক তাহাকে দংশন করিয়া, একদিগে পলায়ন করিল। আগন্তুক দংষ্ট্রীর ।