পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× Yyty- নটনন্দিনী । রূপে প্রদর্শিত হইত। দীননাথ ! মুদ্দীন লক্ষীশ্বরের পক্ষে যে এখনও অত্যাম্বিত ঘটিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। একুলের কুটিলতা এবং অসদভিসন্ধির তদন্ত ভেদ করিয়া, কোন্‌ মহাত্মা এই উত্তরীয় বদ্ধ যোগোষধ তাহাকে সেবন করাইবে। কেই বা কথা ক্রমে শুশ্রীঘা দ্বারা তাছার জীবন দান করিবে । সেই সাধ্বী প্রধান৷ ললনা লক্ষীশ্বরের কুললক্ষীর মদত্ত অপকলঙ্ক অপনোদন করিবার কিছুই উপায় করিতে পারিলাম না। তিনি যদি এখনও জীবিত থাকেন, এ অসহ্য কলঙ্ক ভার কখনই বহন করিতে পারিবেন না, অবশ্যই আত্মঘাতিনী হইবেন । হা! বিধাতঃ ! এ পাপদেহ বিনষ্ট হইয়াও কি ব্ৰহ্মহত্যা ও স্ত্রীহত্যা করিতে ক্ষান্ত ছইল না ?” এইরূপ বিলাপ করিতে করিতে সদাশিব চেতনা শূন্য হইলেন, আর বাক্যস্ফৰ্ত্তি হয় না, স্পন্দ রহিত, আমি সত্বরে নিকটে যাইয়া দেখিলাম, তাহার প্রাণবায়ুর স্বপোবশেষ অঙ্গ বিশেষে প্রবাহিত হইতেছে। ভাবিলাম দুৰ্ব্বত্তের এই দুর্ঘটিত মৃত্যুই শ্রেয়স্কর। ইহার পুনর্জীবন অন্তত লক্ষীশ্বর এবং ক্ষমঙ্করীর শুভঙ্কর হইবে । মন্ত্ৰেীবধ প্রভাবে তাছাকে অচিরাং চেতিত করিলাম। সংজ্ঞা প্রাপ্ত সদাশিব চক্ষুৰুীলন করিয়াই আমাকে দেখিতে পাইল, দৌৰ্ব্বল্য জন্য কিছুই বলিতে পারিল না । দুইটা চক্ষু হইতে দরদরিত জলধারা বিগলিত হইতে লাগিল, আমি তাছাকে ভূয়সী প্রীতি বচনে আশ্বস্ত করত, তৎকালোচিত শুশ্রুষা করিতে লাগিলাম। তিন দিনের পর, সদাশিব কিঞ্চিৎ সবল হইলে আমি এই অস্তুত ব্যাপারের আনুপূর্বিক তাম্বারই মুখে শুনিতে মানস