পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৮০

আরোগ্য । $ ሳኔ হইল যেন, তাছার চক্ষু হইতে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ নির্গত হইতেছে, মুখ রক্তবর্ণ, সৰ্ব্বাঙ্গে লোমরাজি হৰ্ষিত হুইয়া উঠিয়াছে। আগন্তুক যুবকের ঈদৃশ প্রতিমূৰ্ত্তি দর্শনে, তিনি দ্বিতীয় রিপুর অধীন হইয়াছেন, স্পষ্টই বুঝিতে পারিলাম, সশঙ্কচিত্তে গাত্রোথান করিলাম, হস্তপ্রসারণ দ্বারা তাহার গতিরোধ করত কছিলাম, বৎস! ক্ষাস্ত হও । ক্রোধ সম্বরণ কর, রাগানুরাগ কাল বিশেষে যোজনা করা উচিত। অধুনা লক্ষীশ্বরকে নিরাময় করাই আমাদিগের প্রধান কৰ্ম্ম, তাছা যদি পরম শক্রদ্বারা সাধিত হইবার সম্ভাবনা থাকে, আমরা তাছারও পদানত হইব । এক্ষণে লক্ষীশ্বরের জীবন মৃত্যু সদাশিবের চেষ্টায় নিহিত হইয়াছে, উহার আনুকুলাই লক্ষীশ্বরের মহৌষধি, অতএব উছাকে প্রসন্ন করিয়া কার্য্যোদ্ধার করা ভিন্ন উহার প্রতি প্রতিকুল ব্যবহার করিলে, লক্ষীশ্বরের জীবন রক্ষণ করা দুক্ষর হইয়া উঠিবে। আমার এবম্বিৰ সান্তনায়, তিনি কিঞ্চিৎ স্তব্ধ হইলেন বটে, কিন্তু সে প্রজ্জ্বলিত ক্রোধাগ্নি কি প্রবোধ জলে এককালে নির্বাপিত হয় ? তাছার মুখ হইতে পৰুষ বচন সকল শিখণরূপে উপর্য পরি বিনিগত হইয়া, সদাশিবকে দগ্ধ করিতে আরম্ভ করিল । সদাশিব নীরব । এই ব্যাপার দর্শনে সকলেই অস্ত্যমনস্ক, রোগীর দিকে কেহই দৃষ্টিপাত করেন নাই। লক্ষীশ্বর নিস্পন্দ, র্তাহার সর্বাঙ্গ নীলিমা প্রাগু, চক্ষুদ্বয় সমধিক বিবৃত, তারকাযুগলের অৰ্দ্ধভাগ কপালফলকে বিলুপ্ত হইয়াছে। সহসা উপহার এই বিকৃত ভাব দর্শন করিয়াই, পোরগণ রোদন করিয়া উঠিল, আমি আস্তে ব্যস্তে তাছার মুচ্ছৰ্ণপনোদনের নিমিত্ত, সেই বিসদৃশ মুখে জলসেচন করিতে লাগিলাম। ক্ষণপরে তিনি প্রকৃতিস্থ হইলেন, জল