পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরোগ্য । 있, 3 লক্ষীশ্বর উত্তর করিলেন, “প্রভো! সৈরিণীর সতীত্ব প্রভাব, এ কিরূপ আজ্ঞা করিলেন ? দেব ! পবিত্ৰজিহবায় দুশ্চারিণীর নাম উল্লেখ করিলেন কেন ?” আমি বলিলাম, “বৎস ! পতিপরায়ণ ক্ষমঙ্করীর অপরাধ মাত্র নাই। দুষ্টের কুচেষ্টাই তোমার কষ্টের কারণ, সে সকল কথায় এক্ষণে প্রয়োজন নাই, তুমি নিতান্ত বলহীন কি জানি, জীর্ণ শরীরে তাদৃশ বিপুল আনন্দ প্রবাছ ধারণ করিতে না পার ত ছিতে বিপরীত ঘটিলেও ঘটিতে পারে । আমরা অনন্যগস্তা, এই স্থানেই রহিলাম, তুমি নির্ব্যাধি হও ? তোমার শরীরে কিঞ্চিৎ বল হউক ? তখন এই অনিৰ্ব্বচনীয় দুর্ঘটনার হেতুর আদ্যোপাস্তু তোমাকে পরিচয় দিয়া, তোমার কৌতুক দূর কবির।" লক্ষীশ্বব একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া, কি উত্তর করিবার উপক্রম করিতেছিলেন কিন্তু কথা কহিতে পারিলেন না, পুনরায় অজ্ঞানের প্রায় হইয়া পড়িলেন, আমর। অপর আন্দোলনায় ক্ষণস্তু হইয়া, কেবল র্তাহার শুশ্রীষায় প্রবৃত্ত হইলাম। নিয়ম বিশেষে, সদাশিব তাছাকে ঔষধি সেবন করাইতে আরম্ভ করিলেন । এইরূপ সপ্তাহ গত হইলে, তিনি বিগতব্যাধি হইয়া বলাধান হইলেন। পরে সস্তান্ত কতিপয় প্রতিবাসীকে আহ্বান করিয়া, সৰ্ব্ব সমক্ষে ক্ষমঙ্করীর নির্দোষিতার প্রমাণস্বরূপ এবং লক্ষীশ্বরের সাংঘাতিক পীড়া জননের কারণীভুত অপূৰ্ব্ব আখ্যানের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলাম ।