পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপকলঙ্ক মোচন Š ፃናt ক্ষমঙ্করীর পাণিপীড়ন অভিলাষ হৃদয়ক্ষেত্রে বদ্ধমূলিত এবং তন্নিষ্ঠপ্রলাপ বিতর্ক সকল শাখা প্রশাখা রূপে বিস্তীর্ণ হুইয়া, মূলভাগ বিক্ষিপ্ত ধৈর্য্যরূপ জ্যোতিশচক্রের জ্যোতির সছিত লজ্জাকেও অন্তরিত করিল, তখন আমার বয়ঃক্রম অষ্টাদশ বর্ষ, ক্ষমঙ্করীও নু্যনাধিক দ্বাদশ বর্ষ বয়ঃক্রান্তা । আমার মনোগত অভিপ্রায় আর গোপন রাখিতে পারিলাম না। নিৰ্ভয়ে ক্ষমঙ্করীর নিকটেই ব্যক্ত করিলাম, বলিলাম “সুশীলে! এই সংসার বিষবৃক্ষের ফল ভোগে, বিষাক্ত ব্যথিত হৃদয়কে নিৰ্ব্বেদনা করিবার নিমিত্ত, ভগবান্‌ সুশীলা মহিলাগণের সুপবিত্র প্রেমাসূতই একমাত্র ঔষধ বিধান করিয়াছেন। প্রকৃতি পুৰুষের মন যোগ্যতাই তাছার উপযুক্ত অনুপান। অনুপানের ব্যতিক্রমে মহৌষধীর বীর্য বিলয় প্রাপ্ত হয় । তুমি বিদ্যাবতী, আমার স্বভাব চরিত্রও বিলক্ষণ রূপে অবগত আছ, অতএব আচার মতে তুমি আমাকে স্বামীত্বে বরণ করিলে, আমার সংসার বাসনা চরিতার্থ হয়, এবং উভয়েই যাবজ্জীবন অপরিমিত মুখভোগে কাল যাপন করি।" ক্ষমঙ্করী হাস্যাস্যে বলিলেন, “একথা আমাকে বলিলে কেন ? বিবাহেব কোন কথাতেই ত আমার অধিকার নাই, পিতা, মাতা, ভাই, বন্ধু ঐক্যতায় ঘটকের দ্বারা আপনাদিগের জাতি কুলের অনুরূপ মনোমত পাত্র স্থির করিবেন। আত্মীয় স্বজন মিলিত হইয়া বিবাহ দিবেন। বিবাহ ত কাছার ইচ্ছায় হয় না? আমি উত্তর করিলাম, “সে সব সে কালে ছিল, এক্ষণে পাত্ৰ কন্যার মতই মত। বিশেষত স্ত্রীশিক্ষা প্রচলিত হইয়া অবধি এরূপ ঘটনা অনেক হইয়াছে যে, পিতা মাতার স্থিরীক্লত বরপাত্রে কন্যা পাত্ৰস্থা হয় নাই, তাছাকে বিবাছরাত্রে বিমুখ করিয়া দিয়া,