পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbox नप्लेनमिनैो । ভয়ানক আর কিছুই নাই।" এই কথা কহিয়া পুরাবৃত্তের অবশিষ্ট ভাগ বক্তৃতার সদাশিব প্রবেশ করিলেন। এই অস্তুর্ভেদী বাক্য প্রয়োগে সকলের অন্তঃকরণ হইতে, মহোৎসবের উৎসাহ অপহরণ করিলাম। সকলেই বিষন্ন, লক্ষনীশ্বর মানবদনে কি ভাবিতে লাগিলেন, অনেকক্ষণ পরে একটী দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন, “অদৃষ্ট লিপিই বলবৎ বিবাহ ত এক্ষণে কিছুতেই অন্যথা হইতে পারে না।” আমার ইষ্ট সাধনের প্রতিকুল এই বাক্যটা শ্রবণ করিয়া, আমি অনতিবিলম্বে তথা হইতে অন্তৰ্হিত হইলাম এবং ছদ্মবেশ পরিত্যাগ পূর্বক বাটী গমন করিলাম, ভাবিলাম আবার একবার প্রকার ভেদে ক্ষমঙ্করীরই উপাসনা করিয়া অক্ষোভ হই । যে গৃহটীতে আমাদিগের পাঠশালা, সেট নিভৃত স্থান, কেবল অধ্যাপক এবং পাঠার্থী বালক বালিকা ভিন্ন, তথায় অন্তের সমাগম প্রায় নাই। এক দিবস বেল প্রহরেক সময়ে, আর্য্য আচার্য মহাশয় স্থানান্তরে গমন করিয়াছেন, অপর বালক বালিকাও কেহই উপস্থিত নাই, এই অবসরে আমি ক্ষমঙ্করীকে বলিলাম, সুমতে! আমি আর ধৈর্য্যধারণ করিতে পারি না, অতএব আমাকে স্পষ্ট করিয়া বল যে, তুমি আমার তাপিত হৃদয়কে সুশীতল করিবার কোন উপায় করিবে কি না ?" তিনি উত্তর করিলেন, “তুমি এককালে এত উন্মত্ত না হইলে বরং প্রকারাত্তরে তোমার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়া দেখিতাম, কিন্তু ক্ষিপ্ত কখনই বিশ্বাস ভূমি নছে। বুদ্ধিমান লোকে সুসাধ্য দুঃসাধ্য কৰ্ম্ম বিশেষ বিবেচনা করিয়া, তাহার সাধন তৎপরতায় ব্যাকুলিত হয়েন, তোমার স্বেচ্ছাই প্রবলতর, ছিতাহিত বিবেচন। মাত্র নাই, অতএব তোমাকে ভ্রষ্ট চরিত্র বলিয়াই জ্ঞান