পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপকলঙ্ক মোচন ኔbኅ উদাসীন সমূহের সহিত কথঞ্চিৎ কালযাপন করিতাম। এই রূপে কতিপয় দিবস পরে ভবানীপুরে গমন করিয়া, একটা বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়া লইলাম । ভবানীপুরে ব্যুনাধিক দুই বৎসর অবস্থান করিয়াছিলাম এবং সেই স্থাম হইতেই ইংরাজী চিকিৎসা প্ৰণালী শিক্ষা করিয়াছি। তৎপরে একজন বিজাতীয় বাজিকর কলিকাতায় আসিয়া, অদৃষ্টপূৰ্ব্ব ঐন্দ্রজালিক কৌশল পুকাশ করিতে লাগিল ; তাছার নিপুণতা দর্শনে, ঐকান্তিকমনে আমি তাহার উপাসনা করিতে লাশ্বিলাম। প্রার্থনা যে তাছার নিকট ছাত্ররূপে প্রতিপন্ন হই, কিন্তু অন্য কোন প্রকরণ শিথিবীর মানস মহে, কেবল স্বরভেদ মাত্র শিক্ষণ করাই আমার উদ্দেশ্য। বিদ্যাটর কৌশল অতীব চমৎকার, এমন কি, তাহাকে দৈবশক্তি বলিয়া প্রতিষ্ঠিত করা অতিসুলভ। ঐন্দ্রজালিক প্রথমে আমাকে বঞ্চনা করিবার নিমিত্ত বাগাড়ম্বর করিতে ক্রটি করে নাই, পরে আমার একান্ত চেষ্টা দেখিয়া উপদেশ প্রদান করিল। আমি তাহার উপদেশানুসারে বৎসরেক অনন্যচেষ্ট, স্বরসাধনে মিবিষ্ট থাকি। তদনন্তুর অধ্যবসায়ে কৃতবিদ্য হইয়া, পতিপরায়ণ ক্ষমঙ্করীকে প্রতারণা পাশে বদ্ধ করিয়া, চিরবৰ্দ্ধিত ক্রুশ্চেষ্টা সফল করণ মানসে, এই স্থানে এই ছদ্মবেশে আগমন করত, প্রথমেই লক্ষীশ্বরের সছিভ সাক্ষাৎ করিলাম । দেখিলাম লক্ষীশ্বর অপেক্ষারত মলিন, লক্ষনীশ্বরের কান্তিপুষ্টির নাম মাই। আমাকে দেখিবামাত্র, সসম্ভমে গাড্রোধান করিয়া, যথোচিত সমাদরের সহিত অভ্যর্থনা করিলেন। আমিও তাদৃশ অভ্যর্থনে প্রীতি প্রদর্শন পূৰ্ব্বক আসন গ্রহণ করিয়া, কুশল জিজ্ঞাসা করিলাম। লক্ষীশ্বর অতীব গোপনভাবে এই মাত্র বলিলেন, “প্রভো ! সিদ্ধ বাক্য কখনই R. 8