পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫৯ নটনদিনী । অসভ্য হইবার লছে । কুটিল। ক্ষমঙ্করীর পাণিগ্রহণবিধি আমি এক প্রকার চিরকল্প হইয়াছি। আমি ভাবিলাম, ক্ষমঙ্করীর পাণিগৃহীত চিরঞ্চগু হইবেন বলিবার আমার উদেশ্বই এই, আসাধারণ ধীশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিগণও দেশাধিকরণ কুসংস্কারের বশবর্তী এবং সন্দিন্ধাত্মা হইয়া, নিতান্ত যুক্তিবিৰুদ্ধ ব্যাপারেও মনকে উদ্বিগ্ন করেন। মানবদেছ কখনই অজরামর নহে, লক্ষীশ্বর কখন না কখন অবশ্যই অসুস্থ হইবেন, তৎকালে আমার এই কথা স্মরণ করিয়া ইহাকেই দৃঢ় জ্ঞান করিবেন, অতএব আমার সেই যুক্তি যখন বিফল হয় নাই, তখন অভীষ্টসিদ্ধি অবশ্যই নিকটবর্তী হইয়া থাকিবে । প্রকাশে লক্ষীশ্বরকে অশ্বাস প্রদান করত বলিলাম, বৎস! ভয় নাই, আমি শীঘ্রই তোমাকে বিপত্রিশূন্ত করিব। এই ঔষধি গ্রহণ কর, আমার প্রত্যাগমন পর্যন্ত ইহাই প্রতিদিন সেবন করিবে, আমিও ত্বরায় অগসির এককালে তোমার বিপদ বিনাশের উপায় অৰধারণ করিব । এই কথা বলিয়া যে ওষধি লক্ষীশ্বরের হস্তে অৰ্পণ করিলাম, তাহ গরল বিশেষ, সেই বিবাক্তৌষধি আশু প্রাণান্তক নহে, কিন্তু তাহার বীর্য প্রভাবে শরীর জরাযুক্ত এবং দৈনন্দিন বিফলিত হইতে থাকে, উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যতিরেকে মৃত্যুর ভীষণমূৰ্ত্তি মেত্র পথে উদিত হওয়ারই বা অসম্ভাবনা কি তাগছে ? অনন্তুর প্রায় সপ্তাহে উপযুক্ত স্থানানুসন্ধান করিয়া, পরিশেষে এই বিজয়পুরের প্রাস্তুরে গমন করিলাম, তথা হইতে রামপুরা পৰ্ব্বত দেখিতে পাইলাম। পথাপথ বিবেচনা শূন্ত দুৰ্ম্মতি মূৰ্ত্তিমতী হইয়া মুহুর্মুহু উৎসাহ প্রদান করিতেছে। নিৰ্ভয়ে সেই জনশুষ্ঠ হিংস্র জন্তু পরিপূরিত নিবিড় বনাকীর্ণ পৰ্ব্বত