পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপকলঙ্ক মোচন । ‘Sb- % চূড়ায় আরোহণ করিতে কিঞ্চিম্মাত্র সঙ্কুচিত হইলাম না। পাৰ্ব্বতীয় রমণীয়তা আমার দুশ্চেষ্টাকে সত্বর উদ্দীপিত করিল। কেবল ষে কনরেটকে দেবীপীঠ আখ্যানে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি লাম, সেই কন্দরের বহির্ভাগ পর্য্যন্ত অভ্যন্তর প্রদেশ পরিষ্কৃত, এবং যথাযথ বনপুঙ্গে সুসজ্জিত করণানন্তর লক্ষীশ্বরের বাটতে প্রত্যাগত হইলাম । এই কয়েক দিনেই লক্ষীশ্বরের শরীর জর্জরিত হইয়াছে, পুরীমধ্যে হাহাকার ভিন্ন শব্দস্তুর নাই। এই সময় আমি আসিয়া বাগাড়ম্বরের সহিত দেবী পূজায় প্রবৃত্তি প্রদান করিলাম। সকলেরই আমার কথায় দৃঢ় প্রত্যয়, আমার আদেশ ফলিত হইল। দেবী পূজা ছলনা মাত্র, উপচার ছন্তে কন্দর প্রবিষ্ট হইয়া, আমি স্বহস্তে তত্রস্থ একটী অন্ধকারাবৃত সুড়ঙ্গে নৈবেদ্যাদি নিক্ষেণ করণানন্তুর, বাহিরে আসিয়া স্তবপাঠ করিতেছিলাম। পুনঃ প্রবেশে সকলেরই আশ্চর্য দর্শন বোধ হইল। আমি উন্নতমুখে অভ্যস্ত গম্ভীর স্বরে কথা কহিলে, শ্রোতাগণ দিগন্তর উদ্ভত অমামুষিক বাক্য ব্যতীত আর কিছু বিবেচনা করিতে পারেন না । দৈববাণী সেই ইন্দ্রজালিকী স্বরভেদ বিদ্যা কৌশল, নচেৎ প্রকৃত দৈববাণী কখনই এতাৰিক বাগাড়ম্বরযুক্ত হয় না। কত্রিম প্রত্যাদেশে যাৰদীয় লোকের অন্তঃকরণে বিশ্বাস বিস্তার করিলাম । সর্বসম্মতিতে সাক্ষাং শক্তিরূপ ক্ষমঙ্করীর সজীবপ্রতিমা স্বহস্তে বিসর্জন পূৰ্ব্বক, প্রতারিত স্তোড় বাক্যে লক্ষনীশ্বরকে সান্তুনা করিয়া, দুৰ্ম্মতি পরতন্ত্রতায় পুনরায় অনঙ্গুয়া পতিপ্রাণী ক্ষমঙ্করীর অনুসরণ অবলম্বন করিলাম । বং সে দুঃখিনি ! এই সময় সম!শির অধী হই উঠিল, মেদ