পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসর্জন ও উদ্ধার Տb-է, এদিগে ক্ষমঙ্করীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রভঞ্জন, লক্ষীশ্বরের শঙ্কট পীড়ার সংবাদ প্রাপ্তিমাত্রেই নৌকাযোগে বিজয়পুরে আগমন করিতেছিলেন, পথিমধ্যে একটা সিন্ধুক স্রোত পথে ভাসমান দেখিয়া, সকৌতুকে তাছার নিকটস্থ হইলেন। সিন্ধুকের উপরি ভাগে.রজুবদ্ধ ভুজঙ্গমের ভীষণ মুৰ্ত্তি দর্শনে, সকলেই সশঙ্কিত । প্রভঞ্জন স্বয়ং প্রকারাস্তরে সপকে স্থানান্তরাবদ্ধ এবং সিন্ধুকের আবরণ উদ্‌ঘাটন করিয়াই দেখিলেন, তন্মধ্যে ক্ষমঙ্করী প্রায় নিম্পন্দ পতিতা আছেন। প্রভঞ্জন দুর্ঘটনার কারণ কিছুই জানিতেন না, সহসা প্রাণাধিক প্রিয়তম সহোদরার ঈদৃশ্যবস্থা বিলোকনে চমকিত হইলেন, তাছার সর্বাঙ্গ শিথিল হইয়া পড়িল, নাবিকগণকে কাতরস্বরে বলিলেন, “তোমরা ত্বরায় আসিয়া দেখ, আমাদিগের বুঝি কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হইয়াছে” তাছারা তাহার আদেশ মতে ক্ষমঙ্করীকে তথা হইতে বহিষ্কৃত করিয়া, যথোচিত শুশ্রীষা করিতে লাগিল, পরে ক্ষণ মধ্যে ক্ষমঙ্করী ংজ্ঞা প্রাপ্ত হইলেন । প্রভঞ্জন এই শোচনীয় ব্যাপারের আস্তোপান্ত ভগ্নীর মুখে শ্রবণ করিলেন। সেই কাল সর্পকে সিন্ধুকের অভ্যস্তরে পুনৰ্ব্বদ্ধ করিয়া পূৰ্ব্বমতে ভাসাইয়া দিলেন এবং বিজয়পুরের নিকটবৰ্ত্তী নদীকূলে উত্তীর্ণ হুইয়া এক খানী মর্যান আনাইলেন, ক্ষমঙ্করীকে তদারোহণে সঙ্গে লইয়া, স্বয়ং পদব্রজে লক্ষীশ্বরের ভবনে উপস্থিত হইলেন । বৎসে ! ইতি পূৰ্ব্বে যে অবগুণ্ঠনবতী আর যুবাপুৰুষের উল্লেখ করিয়াছিলাম, তাহারাই এই ক্ষমঙ্করী আর ক্ষমঙ্করীর সহোদর প্রভঞ্জন। ইহাদিগের আগমন সময়ে, একটা পুরবালিকা এই মাত্র বলিয়াছিল, “ঐ ! বোঁ আর বোঁয়ের ভাই এলো ! সেই