পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$న নটনন্দিনী । বালিকার উক্তিই আমাকে সতর্কিত করিবার মূলীভুত। ক্ষমঙ্করীর নিৰ্ব্বাসন ব্যাপার অগ্রেই শুনিয়াছিলাম। ভওতপস্বীর সেই অভেদ্য শঠতার চমৎকার প্রভাব, দূৰ্বত রামপুরার পর্বত হইতে বিজয়পুরে অগসিয়া, কম্পিত দৈবকাণ্ডের আলোচনায় ডক্রস্থ আপামর সাধারণ লোকের পক্ষে, একপ্রকার দেবতুল্য বিক্রমশালী এবং শ্রদ্ধাস্পদ হইয়াছিল । পুরবাসী প্রতিবাসী সৰ্ব্ব সমবেত সেই পামরকেই পুনরায় ক্ষমঙ্করী বর্জনের উপায় অবধারণ করিতে উপদেশ করিল, নরাধম তদীয় চিরকম্পনা সাধনের উপযুক্ত অবসর জ্ঞান করিয়া কহিতে লাগিল, “কুছকিনী ডাকিনীগণ মন্ত্র বলে অসাধারণ শক্তি সম্পন্না ছইয়া থাকে, উহাদিগের সহজে বর্জন, অর্থাৎ বনবাসাদি শাস্তি প্রদান করিয়া, নিশ্চিন্তু থাকিলে উছাদিগের কুচেষ্টিত অনিষ্টপাত হইতে নিস্কৃতি পাইবার সম্ভাবনা নাই, অস্তুর্ভেদিনী ব্রহ্মঘাতিনী কৃত অনর্থ কম্পনার করাল গ্রাসের, এক কালে অনায়ত্ত হইবার বিশেষ উপায় না করিলে, লক্ষীশ্বরের পক্ষে পদে পদে বিপৎপাতের আশঙ্কা তিরোহিত হয় না, অতএব এই প্রবল উপদ্রব নিরাকরণের যুক্তি একমাত্র আমি ইহাই স্থির করিয়াছি। লক্ষীশ্বরের মাতা উত্তর করিলেন, দয়াময় কেবল আপনকার প্রসন্নতাই এই সুশীল লক্ষীশ্বরের প্রাণ রক্ষার কারণ, এক্ষণে পাপিনীর মুখ আর না দেখিতে হয়, এমন কি উপায় নিশ্চয় করিয়াছেন আজ্ঞা কৰুন ? দেবীজ্ঞা কখনই উল্লঙ্ঘিত হইবে না। তখন সদাশিব বলিল “সাবরণী কাষ্টাধার” অর্থাৎ কণষ্ঠ ফলক নিৰ্ম্মিত সিন্ধুক মধ্যে ক্ষমঙ্করীকে দৃঢ় রূপে আবদ্ধ এবং তদুপরিস্থ আবরণ ফলকে কালসৰ্প সন্নিবেশিত করিয়া পাত্র সমবেত কোন