পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'సి' নটমন্দিনী । অনবদ্য অবলা কুলবালাকে এই অসঙ্ক যাতনা প্রদান করিলি ? মা ! আমি অজানত তোমাকে কতই পীড়ন করিয়াছি ; এই মৰ্ম্মবেদনা আমার কখনই অস্ত্যথা হুইবার নন্থে ।" - ক্ষমঙ্করী শও চরণে বিলুষ্ঠিত হইয়া বিনীত ভাবে বলিলেন, “মা ! আপনকার শ্ৰীচরণ প্রসাদাৎ আমি যে, অকলঙ্কিনী হইয়া আবার আপনার স্নেহ নেত্রে পতিত হইলাম এবং এই বিষম অপবাদ ক্ষলিত হওয়ায় নির্দোষিত হইয়া, আপনকার সেবার অধিকারিণী হইলাম ; ইহা অপেক্ষ আর আমার পরম সৌভাগ্যের বিষয় কি আছে ? এইরূপ পরস্পরে নানাপ্রকার অনুতাপ এবং যথানিয়মে সম্ভাষণদি করিতে লাগিলেন । আমি সদাশিবকে সেই পৰ্ব্বতস্থ মছাযোগীর বিশেষ বৃত্তাস্তু জিজ্ঞাসা করিলাম, কিন্তু সে কিছুই বলিতে পারিল না । তৎপরে তথা হইতে তীর্থস্তরে গমন করিলাম। সদাশিব কতক দিন আমার সমডিব্যাহারেই ভ্রমণ করিত, পরে যোগাভ্যাস করিতে গমন করিয়াছে, এক্ষণে কোথায় আছে কিছুই বলিতে পারি না । বিশুদ্ধমতী দুঃখিনি ! পতিব্ৰতা লক্ষীশ্বরবণিতার ব্রতরক্ষার উপায় কিছুমাত্র ছিল না, কেবল দ্বিধাশূন্ত পাতিব্ৰত্য নিষ্ঠাই, তাছাকে এই দুস্তর বিপদ সাগর হইতে উত্তীর্ণ করিয়াছে। বংসে ! ক্ষমঙ্করীর দুৰ্গতির সহিত তুলনা করিলে, তোমার উপস্থিত আপন্নদশ সাগর সন্নিহিত গোস্পদ বিশেষে উপমেয় হয় । অতএব আমি দৃঢ় রূপে কক্তপ্রতিজ্ঞ হইলাম, যে কোন উপায়েই হউক, তোমাকে দুৰ্বত পুলিন হস্ত হইতে নিস্কৃতি প্রদান করিয়া, স্থানান্তুর গমন করিব । তদনন্তুর সদানন্দ ব্রহ্মচারী গাত্রোথনি করিলেন এবং কাননের প্রতি লক্ষ করিয়া বলিলেন, “সরলে !