পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ సి8 ] সপ্তত্রিংশ অধ্যায়। উদ্ধার। নিশাপতি মলিনিত মুখে তদীয় সহচর সমীপে বিদায় প্রার্থনা করিতেছেন, তামসী তমস্বিনী যদিও প্রিয় সহবাসোল্লাসে এতক্ষণ সহাসমুখী ছিলেন, তথাপি স্বভাবসিদ্ধ তমপ্রভাব পাত্রবিশেষে বিস্তার করিতে ক্ষান্ত ছিলেন না । অধুনা অচিরাৎ অবশ্যম্ভাবী পতিবিরহ বিধুরতা তাহার মনোমধ্যে সমুদিত হইল। তৎকালোচিত বিকলতাবস্থায় পাছে প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রত্যক্ষিতা হয়েন, এই আশঙ্কায় অধীর হইয়া উঠিলেন । তমোময়ীর বিস্তীর্ণ তমোভাগের প্রাদুর্ভাব অপে অম্পে তিয়োছিত হইতে লাগিল, তখন অবমাননা ভয়ে স্বয়ং কোন নিভৃত স্থানে প্রস্থান করিবার পথামুসন্ধান করিতে লাগিলেন। যতই বুদ্ধিমতী হউন, তথাপি স্ত্রীজাতি, মনের ভাব আর কতক্ষণ গোপন রাখিতে পারেন, ক্ষণমাত্রেই স্নানমুখী হইলেন। র্তাহার এই বিষদৃশ প্রতিমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া, প্রশাখাবস্থিত যামিনী প্রতিকূল পক্ষিকুল এককালে পরিহাসচ্ছলে স্বীয় স্বীয় রব বিশেষের ধ্বনিতে মেদিনীকে ধ্বনিত করিয়া তুলিল । . সদানন্দ ব্রহ্মচারী বিহঙ্গমগণের জগদ্ব্যাপ্ত সুমধুর অব্যক্ত ধ্বনিতে বিগত নিদ্রা হইয়া, যথাবিধি প্রাতঃস্মরণ্য দেবতার নামোচ্চারণ করিতে করিতে, শয্যা পরিত্যাগ করিলেন । প্রভাতিক ক্রিয়া সমাপনান্তে সুরধুনী তীরস্থ হইয়া জাহ্নবীর কারণ বারীতে