পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ধার ృసి(t স্বান করিয়া, আর্ক্সবন্ত্র পরিহার পূর্বক বস্ত্রান্তর পরিধান করত, সন্ধ্যোপাসনায় প্রবৃত্ত হইবেন, অদূরে কাননকে করপুটে দণ্ডায়মানা দেখিয়া, তাহার হস্তে আগর্ত বসনোত্তবীয় অৰ্পণ করিয়া বলিলেন, “বালে! এই বস্ত্র দুই খানী গোপনে দুঃখিনীকে দিব৷ এবং তোমরা সতর্কিত ভাবে সেই অবলাকে গ্রামাস্তরের পথ দেখাইয়া দিয়া, তাহাকে নিস্কৃতি প্রদান করিবে, আমি অস্ত্য রাত্রেই তাহাকে মুক্ত করিবার উপায় করিব । তোমার এ স্থানে অণর কাল বিলম্ব করিবার প্রয়োজন নাই।” কানন “যে অণজ্ঞা” বলিয়া আর্জেবন্ত্র গ্রহণানন্তুর ব্রহ্মচারীকে প্রণাম করত, তৎক্ষণাৎ তথা হইতে প্রস্থান করিল। ব্রহ্মচারী সন্ধ্যোপাসনান্তে পুলিনভবনে গমন করিলেন । পুলিন অনন্তচেষ্ট, রজনী প্রভাত না হইতেই ব্রহ্মচারীর আদিষ্ট পুষ্প, চন্দন, সমিং, কুশা, যজ্ঞকাষ্ঠ ও গাবীদ্বত প্রভৃতি ক্রতুসাধন যোগ্য সামগ্ৰী সকল আহরণ করিয়া রাখিয়াছিলেন, সদানন্দ সমাগত মাত্রেই সমুদয় প্রাপ্ত হইলেন, এবং ঐকান্তিক মনে সেই অনবদ্যা, স্বধৰ্ম্মপরায়ণা, দুঃখিনীর উপস্থিত প্রমাদ প্রনাশনের স্বস্ত্যয়ন আরম্ভ করিলেন ; পুলিন বাবু ব্রহ্মচারীকে পূজা নিবিষ্ট দেখিয়া, ধনমণি বৈষ্ণবীর রাটতে গমন করিলেন, এবং তথায় ধনমণির সহিত কি কথোপকথন করিলেন, পরিশেষে দুঃখিনীর বাসগৃহের সম্মুখে দাড়াইয়া বলিলেন, “দুঃখিনি! তুমিই ধন্য। কিন্তু এবার ব্রহ্মচারীর ছাত হইতে নিস্কৃতির উপায় কি করিলে বল দেখি ? এই বার ত তোমার পণের শেষ হইয়। গেল ?” এইরূপে পুলিন দুঃখিনীর প্রতি কতপ্রকার শ্লেষ বাক্য প্রয়োগ করিতে লাগিল। দুঃখিনী তাছাতে কিছুই উত্তর করিলেন