পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'సిసి मछेनमिर्मी । না। পুলিন তাহাতে সমধিক ক্রোধযুক্ত হইলেন, কোপনয়নে দুঃখিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া, আপন ওষ্ঠ দংশন করিতে করিতে চলিয়া গেলেন । বেশ্বাগণ যথাকলে দুঃখিনীর নিকট আসিয়া, ব্রহ্মচারী প্রদত্ত বসনোত্তরীয় দুঃখিনীকে সংক্ষোপনে সমর্পণ করত, আপনাপন আলয়ে চলিয়া গেল । এ দিকে সদানন্দ ব্রহ্মচারী সমস্ত দিবাভাগ জল গণ্ডুশও পান করিলেন না। সায়ংকৃত্য সমাপনন্তে যৎকিঞ্চিৎ ফলমূল ভোজন করিলেন, তৎপরে পুলিনকে আহ্বান করিয়া বলিলেন, “পুলিন! অদ্য রজনীতে কোন প্রক্রিয়া করা জাবশ্বক, তজ্জস্য বারস্কার নায়িকার নিকট গমনাগমন কালে, তুমি একাকী আমার সঙ্গে থাকিবে ।" পুলিন উত্তর করিলেন, “প্রভো ! যাহা আজ্ঞা করিবেন তাহাই করিব। দেবাজ্ঞা কিছুতেই লঙ্ঘন করিব না।” রাত্রি প্রায় এক প্রহর হইল, ব্রহ্মচারী পুলিনকে সঙ্গে লইয়া, বাট হইতে বাছির হইলেন । ধন বৈষ্ণবীর বাটীর নিকট যাইয়া বলিলেন, “পুলিন ! তুমি এই স্থানেই অপেক্ষা কর, আমি সত্বর প্রত্যাগমন করিব।” বাটতে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, তখনও সকলে জাগ্রত আছে । দুঃখিনীর গৃহদ্বার উন্মোচন করিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন, এবং অতি মৃদুস্বরে কছিলেন, “বৎস! অামার প্রেরিত বস্ত্রগুলি পরিধানে পুৰুষবেশে সুসজ্জিত এবং প্রস্তুত হইয়া ক্ষণমাত্র প্রতীক্ষা কর ? পুরীস্থ লোক নিদ্রিত হুইলেই আমি তোমাকে সম্বাদ দিব, তুমি তৎক্ষণাৎ বাটীর বাহিরে গিয়া তোমার সেই পরমোপকারিণী বাররমণীগণ স্থানান্তুর গমনেরপথ দেখাইয়া দিলে যথা ইচ্ছা প্রস্থান করিবে ।”