পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ধার 为为° তদনন্তর ব্রহ্মচারী পুলিন সমভিব্যাহারে বিষ্ণুমণ্ডপে পুনরাগমন করত, ক্ষণকাল পরে আবার পূর্বমত ধনমণীর বাটতে গেলেন । এইরূপে উপৰ্য্যুপরি তিনবার যাতায়াত করিলেন কিন্তু উপযুক্ত অবসর পাইলেন না। রাত্রও দুই প্রহর অতীত, চতুর্দিক নিস্তব্ধপ্রায়, এত রাত্রে আর কে জাগ্রত থাকিবে ? এইবার সদানন্দের অভীষ্টসিদ্ধি প্রত্যক্ষিত, এইবার চতুর্থবার, সদানন্দ ধনমণীর বাটতে গিয়া দেখিলেন, সকলেই সুখ শয্যায় সুমুণ্ড। দুঃখিনীর গৃহে প্রবিষ্ট হইয়া, পূৰ্ব্ববৎ অস্ফুটন্ধপে বলিলেন। “বৎসে! আর বিলম্ব করিও ন', আমি বাটীর বহির্ভাগে গমন করিলেই তুমি প্রস্থান করিবে, কাল বিলম্বে আমি পুনরাগমন করিব । সেই নরপিশাচ পুলিন, আমার সঙ্গে সঙ্গেই গমনাগমন করিতেছে, তাহার সম্মুখে পড়িলে ছিতে বিপরীত ঘটিয়া উঠিবে।" দুঃখিনীকে এইরূপ উপদেশ প্রদানানন্তর পুলিনের এবং ধনমণীর বাটীর দ্বারের ব্যবধান পথের অৰ্দ্ধাবশিষ্ট স্থানে আসিয়া, ব্রহ্মচারী সহসা দণ্ডায়মান হইলেন এবং সবিস্ময়ে বলিলেন, “বৎস পুলিন ! বুঝি দ্বার রুদ্ধ করিতে বিস্মৃত হইয়াছি।” এতৎ শ্রবণে পুলিন উদ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া ধনমণীর বাটার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। পূৰ্ব্বে ব্রহ্মচারী নিষেধ করিয়াছিলেন বলিয়া, গৃহপ্ৰবেশ করিলেন না, ব্রহ্মচারী ও সত্বর আসিয়া, দুঃখিনীর বাসগৃহের কবাট পূর্বের স্থায় আবদ্ধ দেখিয়া, পুলিনকে আহ্বান করিলেন । পুলিন গবাক্ষদ্বার ছইতে দেখিলেন, যেন নির্দিষ্ট স্থানে দুঃখিনীশয়ান আছেন । ত্রিযামা তৃতীয় প্রহর পর্য্যন্তু প্রায় এইরূপেইঅতীত হইল। তৎপরে ব্রহ্মচারী এবং পুলিন উভয়েই বিশ্রামার্থে গমন করিলেন ।