পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ধার । పిసిన ধারণ পূর্বক যখন মহোপকারিণী বারবিলাসিনীগণের নিকটবিদায় প্রার্থনা এবং কৃতোপকারসম্বন্ধে তাহাদিগের গুণানুবাদ করিতে লাগিলেন, তখন উহাদিগের স্বেছরস নেত্ৰ জলের সহিত আরো শতগুণে উথলিয়া উঠিল । বিমলা ব্যাকুল, উন্মত্তার দ্যায়, তাহার কক্ষ ধারণ পূর্বক,“এসোমা এসে একবার তোমাকে কোলে করিয়া জন্ম সার্থক করি" বলিয়া, সম্বেছে ক্রেগড়ে, তুলিয়া লইল । অপর কেহ চিবুক, কেহ বা হস্ত স্পর্শ করত, রোদন করিতে করিতে কহিতে লাগিল, “হা ! অভাগিনীর সম্ভান ! এমন পোডাকপালে রূপ নিয়েও জন্মেছিলে ? অণমর হাতে করে করে সাজিয়ে, মেয়ে কি পুৰুষ চিন্তে পারি না ? আহা ! মা গো ! যে দিন তোমাকে প্রথম দেখেলেম, সেই অবধি আমরা আহার নিদ্রা ত্যাগ করে, কেবল তোমার উদ্ধারের চিন্তাই করতেছি বটে, ভগবানের ইচ্ছায় তাও আজ সিদ্ধ হলো, কিন্তু তোমার মুখ দেখে যে বুক ফেটে যাচে । তোমাকে এখন কোথায় পাঠাচ্চি ? তোমাকে যে এক প্রকার জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্চে ? তোমার এই কোমল শরীরে পথের ক্লেশ কিরূপে সহ্য হবে ? তুমি নিতান্ত ক্লান্ত হলে কেই বা তোমার সেবা করবে ? যদি দুৰ্গম পথক্লেশে কোন পীড়াই উপস্থিত হয়, তখন কে তোমাকে ঔষধ পথ্য দিয়া তোমার প্রাণ রক্ষা করবে ? ভগবন্‌! এই সুশীলা অবলার প্রতি কি তোমার একবারও দয়া হয় না ? প্রভো ! এমন সর্তী লক্ষ্মীকেও কি এ অসহ যাতনা দেওয়া উচিত ?" এই রূপে ক্ষণকাল বিলাপ করিয়া, পরিশেষে একজন বলিল ৷ “ম দুঃখিনি ! আমাদিগের হৃদয়কে পাষাণে বান্ধিয়া, আজ তোমাকে আমরা বিদায় দিলাম, কিন্তু তুমি এই হতভাগিনীদের এক এক বার স্মরণ করিও । তুমি