পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి 6 డి নটনন্দিনী । লেখা পড়া জগন, যেখানে যেরূপ থাক অামাদের সম্বাদ দিও । তাহা হইলেও আমরা অনেক সুস্থ ও সন্তুষ্ট হইব। বিধাতা তোমাকে কখন না কখন অবশ্যই সুখী করিবেন । মা ! আমাদের অবস্থা তুমি সকলি জান, আমরা দীনা অর্থ দ্বারা তোমার সাহায্য করি এমন শক্তি নাই, তবে এই যৎকিঞ্চিৎ তোমারই পথ খরচের জন্য সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছি, প্রসন্ন মনে গ্রহণ করিলে তৃপ্ত হই।” এই কথা বলিয়া দুটা সিকি দুঃখিনীর হস্তে প্রদান করিল। দুঃখিনী তাহা আহলাদের সহিত গ্রহণ করিলেন এবং উত্তরীয়ে অশ্রু মার্জন করত কছিলেন “আমি যত দিন জীবিত থাকিব, আপনাদিগের এই অসামান্ত স্নেহ কখনই বিস্থিত হইব না, এক্ষণে আশীৰ্ব্বাদ কৰুন, যেন দুৰ্ব্বত্ত পুলিনের হাতে আর না পড়িতে श्श ।।' তদনন্তর বেশ্বাগণ জনশূন্য গোপনীয় পথে দুঃখিনীকে সঙ্গে লইয়া কতক দূর অগ্রসরে গ্রামান্তরের পথ দেখাইয়া দিয়া, ক্ষু মনে প্রত্যাগমন করিল। দুঃখিনী পরম পিতার স্মরণ মাত্র অবলম্বন করিয়া, নিৰ্ভয়ে দিগ্বিদিগ গমন করিতে লাগিলেন । প্রাতঃকালে ব্রহ্মচারী নিয়মিত উপাসনা কার্ষে ব্যাপৃত, পুলিন কতিপয় বয়স্যগণে পরিবেষ্টিত, ইতস্ততঃ বিচরণ করিতেছেন, এমত সময়ে ধনমণী বৈষ্ণবী দ্রুতপদে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইল, করযোড়ে পুলিনের সম্মুখে দাড়াইয়া বলিল, “বাৰু দুঃখিনী বুঝি পালিয়েছে, ধনমণীর কথা পুলিনের পক্ষে বজ্র নির্ঘোষের অনুরূপ বোধ হইল, উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া তাছার বাটীতে গেলেন। পদাঘাতে দ্বারের শৃঙ্খল উৎপাটন করত গৃহ প্রবিষ্ট মাত্রে বাস্তবিক দুঃখিনী তথায় নাই দেখিয়া, বিকলাঙ্গ বসিয়া পড়িলেন।