পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্ধার । ২ •১ এখন সেই ঘোষিক্ত বজ্রাশনি তাছার মস্তকে পত্তিত হইয়া, হৃদয় ভেদ করিল, ক্রমে ক্রমে পারিসদগণও তথায় মিলিত হইলেন । হুলস্থূল ব্যাপার উপস্থিত! এই অবসরে সদানন্দ ব্রহ্মচারীও প্রস্থান করিলেন । দুঃখিনী সেই ছদ্মবেশে অত্রান্ত গতিতে, নদনদী, বন এবং জনপদাদি উত্তীর্ণ হুইয়া, গমন করিতেছেন ; দিবসে ক্রমে বৰ্দ্ধনশীল পথ পৰ্য্যটন, রাত্রে পান্থশালায় অতিবাহন, এইরূপে কিয়দিবস পরে এক দিন সন্ধ্যাকালে পথঘটিত একটা ক্ষুদ্র গ্রামে প্রবেশ করিয়া, এক গৃহস্থের বাটীতে অাতীথ্য স্বীকার করিলেন । গৃহস্থ যথাদরে অতীথি সন্মান রক্ষা করিতে ক্রট করিলেন না এবং অতীথির সহিত বহুক্ষণ আলাপনে বুঝিতে পানিলেন যে তিনি পণ্ডিত বিশেষ, প্রকারাস্তরে বরং উছিার নিকট এরূপ আভাসও প্রকাশ করিলেন যে, একজন উপযুক্ত শিক্ষক পাইলে একটী পাঠশালা স্থাপনা করেন ; দুঃখিনী তখন পথক্লেশে সমধিক ক্লান্ত', কিছুদিন বিশ্রাম করা আবশ্বক ভাবিয়া গৃহস্থের আদেশে তাছার অভিমত প্রকাশ করিলেন, এবং কিছুদিন তথায় বালক বালিকার শিক্ষাকার্ঘ্যে ব্যাপৃত থাকিয়া গুপ্তচাৰে অভিবাছিত করিলেন, কিন্তু সৰ্ব্বদা সশঙ্কিত, প্রতিদিন রাত্র প্রভাতের পূৰ্ব্বে স্বানাদি ক্রিয়া সমাপনস্তুে তৎকালিক প্রচ্ছন্নবেশ সমন্বিত হইয়া লোকালয়ে প্রকাশ হইতেন । মস্তকের উষ্ণীষ কখনই উদঘাটন করিতেন না, কেছ কারণ জিজ্ঞাসা করিলে আবৃত্ত মস্তকে থাকা চিরাভ্যাস বলিয়া তাছাকে প্রবোৰিত করিতেন । এই প্রকারে কিয়দিন গত হইলে যে গৃহস্থের বাটীতে দুঃখিনী ૨૭