পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ ২ मछेनमिनी । বাস করিতেন, তথায় কোন বৃহৎ কৰ্ম্মোপলক্ষে পুলিন বাবু নিমন্ত্রিত হইয়া আগমন করিলেন। দুঃখিনী ইতিপূৰ্ব্বে কিছুই জানিতেন না, বেল প্রায় তৃতীয় প্রহরের সময় ঘটনাক্রমে পুলিনের নয়নপথে পতিত হইয়া এককালে চমকিত হইলেন । শারদ পাৰ্ব্বণ চন্দিমার চন্দ্রিক সামান্ত মেধাবরণে কতক্ষণ আবরিত থাকিতে পারে? পুলিন দুঃখিনীকে দেখিবামাত্র দৃষ্টপূৰ্ব্ব জ্ঞানে কেবল উপৰ্য্যুপরি তাছাকেই নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । পুলিনের ভাবভঙ্গি দেখিয়া দুঃখিনীর মন নিরতিশয় ভীত হইল। কাৰ্য্যন্তরে পুলিনের নয়নান্তরাল হইয়া এককালেই পলায়ন করিলেন। তখন মনে মনে বিবেচনা করিতেছেন যে আর লোকালয়ে গমন করিব না। এক্ষণে বনবাসিনী হইয়াই জীবনযাপন করিব । এইরূপ গঢ় চিন্তায় নিমগ্ন, সুপথ কুপথ কিছুই বিবেচনা না করিয়াই দ্রুতগমনে উন্মত্তা ; ক্রমে সন্ধ্যাকাল অতীত। একটা ক্ষুদ্র জলাশয় সন্নিহিত বহুল বৃহদ্ভূক্ষ সমাকীর্ণ উদ্যান মধ্যে প্রবেশ করিলেন। ক্ষুৎপিপাসায় নিতান্ত কাতরা তথাপি গমনে ক্ষান্ত নছেন । সেই উদ্যানের অৰ্দ্ধেক ভাগ অতিক্রম করিয়াই একটা ভীষণ “ সামাল ” শব্দ উপহার কৰ্ণে প্রবিষ্ট হইল। তিনি সচকিতে পশ্চাদৃষ্টিকরনোমুখী এই সময়ে এক নিষ্ঠুরের যষ্টিপ্রহারে অচেতন হইয়া ভূতলে পতিতা হইলেন । ঘাতক স্বীয় অভিপ্রেত অর্থ তন্ত্রাস করনাশয়ে তাহার অঙ্গে হস্তীৰ্পণ করিয়াই বলিয়া উঠিল “আছা ! কি কুকৰ্ম্ম করিলাম ! যেনিমিত্ত হত্যা করিলাম তাছার ত কিছুই দেখিতে পাই না, কেবল স্ত্রীহত্যা করাই সার।” স্ত্রীহত্যা শুনিয়া অপর একজন তথায় উপস্থিত ছইল। যষ্টির প্রহারে উকীষ শ্লথ হইয়া দুঃখি