পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

° cჯ) নটনন্দিনী । তিনি একটা বৃহৎ হাতিতে চড়ে দীর্ঘাকার এক দিঘিতে গেলেন। অগ্রেই তাহার চাকরেরা চার করে রেখেছিল তিনি সেখানে যাবামাত্র স্বহস্তে হাতি হতেই ছিপ ফেললেন, একটু পরেই কি একটা ছিপে খেয়েছে, টানাটানি কোল্লেন তুলতে পাম্বেন না। রাজাও খুব সবল, বিশেষ মানুষের ছাতে জন্তু বৈ নয়, কতক্ষণ পার পাবেন, মহারাজ যেমন দুহাতে ধরে একটা সজোরে টান মেরেছেন, অমনি একটা বৃহদাকার বাঘ সগৰ্জ্জনে কিনারায় উঠে রাজার হাডিটার মাতাটা ছিড়ে নিয়ে পুনরায় জলে পড়লো । এই সময়ে বীর শেখর অযোধ্যালালকে জিজ্ঞাসা করিলেল, অযোধ্যালাল ! “বাঘ নামে কি কোন প্রকার জলজন্তু আছে ?” সে উত্তর করিল “তা কেন মহাশয়! যে বাঘ বনে থাকে, মালসার মত মুখ, বাঘের মত রং, বড় বড় থাবা সেই বাঘ ।” বীরশেখর।—তবে জলে থেকে ছিপেউঠে, ছাতীর মাতা ছিড়ে নিয়ে পুনরায় জলে পড়া এ কেমন কথা ছেলে ? অযোধ্যা ।—মহারাজ ! আরব্য ইতিহাসের বর্ণনা “দেয়াল ফেটে ছাবসী বেৰুল-ভাজামাচে কথা কইল" এ গুলো যেমন এও তেমনি জাম্বেন। বীর –বটে? তবে বল। আর কোন কথারই বিতর্কে প্রয়োজন নাই । অযোধ্য। —মহারাজ ! সেই মাতা ছেড়া ছাতিটা চিৎকার কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে একটা বনের ভিতর দুকূলে ; দোঁড়া দোঁড়ি করে বেড়াতে লাগলো। মাতা নাই, কিছুই দেখতে পায় না তার বড় বড় দণত দুটো একটা সজ নে গাছে বিধে গেল। হাতিটা