পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২১৯

a@o मछैनकिर्मी । সামান্ত হাতী নছে, ইনি কোন দেবতা অবতার হয়ে থাকৃবেন অতএব ভক্তি ভাবে ইহঁাকে স্তব করি, ইনি প্রসন্ন ছলে আমার ভাল কর্তে পারেন। ভাবতে ভাবতে নিকটে গিয়ে দেখি সেই হাতী যাকে পিপড়েতে পেয়েছিল । হাতী আমাকে দেখেই শু ড়ে জড়য়ে নিয়ে দোঁড়িতে আরম্ভ কল্পে। এক দিনে তিন চারি শত ক্রোশ গিয়ে পড়লো। বিশ ক্রোশী এক মাটের মাঝখানে একটা মনোহর সরোবরের তীরে গিয়ে দাড়াইল । তথায় বৃহৎ এক অশ্বখ বৃক্ষ ছিল সেই গাছের তলায় আমায় নামিয়ে দিয়ে সেই সরোবরে লাফিয়ে পোড়লো। সরোবরটা দীর্ঘপ্রস্তে উৰ্দ্ধ সংখ্যা দশবিঘা। জামি সেই অশ্বথ তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই সব কাণ্ডের আগে গোড়া চিন্তু কচ্চি আবার সেই হাতীটা একটা তিন ক্রোশী বাগান দাঁতে করে জল হতে কিনারায় উঠলো, আহা! বাগানটার শোভা দেখলে চক্ষু মুড়ায়ে যায়। পলাশ, কৃষ্ণকালী, কৃষ্ণচূড়া, জবা, ধুতুরা, গেদী, অপরাজিত, তৰুলতা, আকন্দ, চিনের করবী প্রভৃতি সুগন্ধি পুষ্প বাটিকায় পরিপূর্ণ। মধ্যে মধ্যে জিবল, শেওড়া, তুদ, পাট, ধঞ্চে, গম্ভার, মনসা, সোন্দাল ইত্যাদি সুফলযুক্ত মেওয়ার গাছ সকল ফল ভরে অবনত । বাগানের বেড়ার শোভার কথা অণর কি বলবো, শ্রেণীবদ্ধ ওল, কচু এবং ঘেটফুল গাছে এমনি বেষ্টিত যে তার ভিতর পিপড়েট প্রবেশ কৰ্ত্তে পারে না। তার মধ্যে একটা রম্য অট্টালিকা ৷ অট্টালিকায় হেঁট হয়ে ঢুকতে গেলে পিঠে ঠেকে, সোজা ঢুকতে মাতায় ঠেকে, অর্থাৎ খোচা না খেয়ে কোন ক্রমে তার ভিতর যাবার যো নাই। চালের এক এক দিক গলে খসে পড় চে । দেয়াল এমনি চিকন যে কত শেয়াল