পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*>8 নটনন্দিনী । চত্বরিংশ অধ্যায়। ঠগৰ্বত্তি । এই রূপে কতিপয় দিবস গত হইলে একদণ রাত্রি প্রভাতে যুবরাজ বীরশেখর অনুচরগণে বেষ্টিত হইয়া প্রকৃত পথে গমন করিতেছেন। অযোধ্যালাল আর রঙ্গলাল র্তাহার পাশ্বেই আসিতেছিল। অযোধ্যালাল বিনীত ভাবে বলিল নরনাথ ! যদি অধমের বাক্যে অশ্রদ্ধা না করেন তবে প্রার্থনা প্রকাশ করিতে সমর্থ হই, অর্থাৎ যাহাতে অলপ দিনেই এই দুৰ্গম পথ অতিক্রম করিয়া রাজধানীতে গমন করিতে পারি এমন একটা সুপথ এই বাম ভাগের বন মধ্যে আছে, অমুমতি হইলে সেই পথেই গমন করা যায় । বীরশেখর তখন উছাদিগকে বিশেষ বিশ্বাস পাত্র জ্ঞান করিয়াছিলেন, অগত্যা অযোধ্যালালের প্রস্তাবে অণুমাত্র অনুচিন্তন ব্যতীত সৰ্ব্ব সমভিব্যাহারে তাহারই অনুবৰ্ত্তন করিলেন। বেলা দ্বিতীয় প্রহর অতীত, ক্রমে ক্রমে নিবীড় বনে প্রবেশ করিয়াছেন ; এই সময় রাজা বলিলেন “অযোধ্যা লাল ! আর কত দূর গমন করিলে লোকালয় পাওয়া যাইবে।” অযোথ্যালাল বলিল মহারাজ এখনও ৪ । ৫ ক্রোশ গমন করিলে চটীর নিকটবর্তী হইবেন । যদি ক্লিষ্ট হইয়া থাকেন এই স্থানেই অল্প অবস্থান কৰুন। রাজা অবিচারিত চিত্তে সেই জন শূন্ত ভয়ানক হিংস্র জন্তু সংকুল স্থানেই শিবির স্থাপন পূর্বক যামিনী যাপন করিলেন, যৎকিঞ্চিৎ খাদ্য দ্রব্য সঞ্চিত ছিল তদ্বা