পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠগৰ্বত্তি । ২১৫ রাই সে দিবস সকলেই জীবন ধারণ করিল । পরদিন সেই পথেই গমন করেন, বেল প্রহরেক না হইতেই সকলে নিরতিশয় ক্লাস্তু ছইয়া উঠিল । পথিমধ্যে ভোজ্য দ্রব্য পাওয়া দূরে থাকুক, জলগওষ পান করিয়া প্রাণ রক্ষা করেন এমত কোন উপায় নাই। অশ্বগণ আর অগ্রসর হয় না, তখন অনুচরগণ অযোধ্যালালকে যথোচিত ভংসনা করিতে লাগিল। অযোধ্যালাল রাজসমীপে নির্দোষিত প্রকাশণশায় বলিল, মহারাজ ! এ পথে আমি এক বার মাত্র আসিয়াছিলাম এক্ষণে বোধ হয় পথভ্রম হইয়া থাকিবে । অনুচরগণ ক্রমে চতুর্দিক ভ্রমণ করিতে করিতে একটা জলাশয় দেখিতে পাইল, সত্ৰস্তে তাহার তটে উপস্থিত হইয়া দেখিল পঙ্কলট গলিত পত্রে আবরিত, যে অত্যপ জল আছে তাহা ও বিবর্ণ এবং তাহার এমনি দুৰ্গন্ধ যে, তাহ পান করা দূরে থাকুকু স্পর্শ করিতেও ঘূণা জন্মে। মনুষ্য কি ? পশু পক্ষিতেও সেজল পান করিতে পারে না । দুস্তর প্রাস্তুরাস্তুবর্তী মরীচিকা দর্শনে তৃষিত কুরঙ্গকুল যেমন জীবন ভ্রমে তদনুসরণ দ্বারা অধিকতর ক্লান্ত এবং হর্ষোদ্যমে বিষাদিত হইয়া জীবনাস্তুক হস্তে পতিত হয়, বীরশেখরের সঙ্গীগণও তড়াগ তটস্থ হইয়। তদবস্থা প্রাপ্ত হইল । সকলেই হতাশ্বাস, বিকলাঙ্গ, সেই স্থানে বসিয়া পড়িল, এই সময় অযোধ্যালাল এবং রঙ্গলাল উভয়ে যুবরাজের উভয় পার্শ্বে দৃঢ় বদ্ধ পরিকরে দাড়াইয় তাহার হস্তদ্বয় ধারণ পূৰ্ব্বক র্তাহাকে নিরস্ত্র এবং অচল করিয়া একটা অশ্রুত পূৰ্ব্ব ধ্বনি করিয়া উঠিল। ভস্মাত্রে সেই ভীষণ বনাভ্যন্তর হইতে কতিপয় মল্লবেশী পুৰুষ, প্রত্যেকে হস্তদ্বয় পরিমিত দৃঢ় রজু ছন্তে নিঃশব্দে