পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*るS) बछेनमिमैौ । নিষ্কাশিত হইয়া হস্তস্থিত রজ্জ্বকৌশলে মুহূৰ্ত্তেক মধ্যে রাজানুসঙ্গী সকলকে ধরাশায়ী করত যথেচ্ছ দ্রব্যাদি আত্মসাৎ করিয়া পলায়ন করিল। পাঠক ! এই রজু কোঁশলই “ঠগ” বৃত্তি বলিয়া প্রকাশ আছে। ঘাতকগণ পশ্চাৎ হইতে কৌশল ক্রমে এই রজু এক বার বধ্য ব্যক্তির গললগ্ন করিতে পারিলে তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাণান্ত সাধনে কৃতকাৰ্য্য হয় । এইরূপে মল্পগণ তত্রস্থ সকলকে শূন্যচেতা করিয়া অভীষ্ট সাধনানন্তর দৃষ্টি গোচরের অন্তরাল হইলে, অযোধ্যালাল এবং রঙ্গলাল ভূপতি বীরশেখরের দক্ষিণ হস্ত একটা বৃক্ষের নিম্ন শাখায় বন্ধন করত কতকগুলি বনফল আহরণ পূর্বক তাহার সম্মুখে দিয়া বলিল “মহারাজ ! আপনি আমাদের প্রতি যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করিয়াছেন অতএব আমরা আপনার প্রাণনষ্ট করিলাম না এবং আপনার আসন্ন বিপৎপাত নিবারণের নিমিত্ত যে উপদেশ দিতেছি ইহার অস্থ্যথা করিবেন না । এই যে বন ফল দেখিতেছেন, এই রূপ ভিন্ন ফলান্তর ভোজন করিবেন না, ইছা প্রায়ই বিষাক্ত, এ অতি ভয়ানক বন, ইহাতে জন্তু ভয় সৰ্ব্বদ আছে । হস্তিপৃষ্ঠে আরোহণে এ বন অতিক্রম করিবেন, আমরা জীবিত থাকিতে অণর আপনার দত্ম্যভয় নাই।" অনন্তর তাছারাও দ্রুতপদে প্রস্থান করিল। যুবরাজ যতক্ষণ তাহাদিগকে দেখিতে পাইলেন, পিঞ্জর বদ্ধ শাৰ্দ্দলের দ্যায় তাহাদিগের প্রতি কোপ দৃষ্টিতে চাহিয়াছিলেন। অদৃশ্ব হইলে বহু যত্নে বন্ধন উন্মোচন করত হস্তীতে আরোহণ করিলেন । হস্তী চালনার সঙ্কেত জানিতেন না অগত্যা তাহারই বশতপন্ন হুইয়া বনে বনে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । সুর্য্যাস্ত