পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্যশালী | ২১১ সহিত অননুভূত রূপে বক্ষস্থলাচ্ছাদিত বস্ত্র উদ্‌ঘাটন করিবার উপক্রম করিয়াই এককালে বিস্ময় সাগবে নিমগ্ন হইলেন । আস্তে ব্যস্তে আবরণের স্থলিতভাগ অবিকৃত ভাবে নি মৃত্যুদয়িত কবিয়া বহুক্ষণ ব্যজনী সঞ্চালনে দুখিনীর সর্বাঙ্গান স্বেদবিন্দ্র নিঃশেষ হইলে কাৰ্য্যাস্তরে গমন করিলেন । পাঠক ! এতক্ষণের পর দুঃখিনীর নিদ্রাভঙ্গ হইল। এখন সন্ধ্যাকাল, দুঃখিনী শয্যা হইতে গাত্রে খান করিয়া রত্র প্রভাত বোধে যষ্টি গ্রহণ পূর্বক যাত্রা করেন, এই কালে গৃহস্বামিনী সম্মুখে আসিয়া সহাস্য মুখে বলিলেন “এ সন্ধ্যাকাল, উষা নহে । এতং শ্রবণে দুঃখিনী সলজবদনে পুনরায় সেই নির্দিষ্ট শয্যায় গিয়া উপবেশন করিলেন । স্নেহময়ী অর্পণবিকারিণী কৌতুহলা ক্রান্ত, তাছার নিকটস্থ হইয়া সম্বেহে বিনীত ভাবে কছিলেন, “মা ! তুমি কোন অভাগার কুললক্ষমা ? কি দুঃসহ অভিমানেই বা গৃহস্থখ পরিহার পূর্বক এই তৰুণ বয়সে অনাথার ন্যায় পথে পথে ভ্রমণ করিতেছ ? ইহার সবিশেষ পরিচয় দিয়া আমার মনস্তুটি সাধন কর, অদ্যথা আমি কোন ক্রমেই তোমাকে স্থানান্তর গমন করিতে দিব না, বরং তোমাকে আবদ্ধ রাখিয়া দেশে দেশে এই ব্যাপার ঘোষণা দ্বারা ইহার মৰ্ম্মেণপ্তেদ করিব । বিশেষতঃ তোমার আচঞ্চল প্রকৃতি, অমায়িকতা এবং অস্পষ্ট লজ্জাশীলতা প্রভৃতি স্বভাবসিদ্ধ গুণ গুলি অলক্ষিত রূপে তোমার চিত্ত শুদ্ধির প্রণালী বিস্তার করিতেছে, নচেৎ দুৰ্ম্মন বলিয়া মনোবেগ সম্বরণ কfরতাম । শোকবিহ্বলতা ইহার একটী প্রধান হেতু কিন্তু তাছা উচিত কাল সাপেক্ষ, এমন কি শোচনীয় ব্যাপার আছে যে তৎ